০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কী আওয়ামী লীগ ভীত!

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কী আওয়ামী লীগ ভীত! - সংগৃহীত

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের যে জোটের আত্মপ্রকাশ করেছে তাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পর দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। রোববার মাদারীপুরের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা খুন, দুর্নীতি ও অগ্নি-সন্ত্রাস করে তাদের সাথে হাত মিলিয়েছেন ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ও আসম আব্দুর রব।

নতুন জোটকে 'জগাখিচুড়ি ঐক্য' আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনার মন্তব্য ছিলো, নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের মুঠো ধরেছেন ড. কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের সঙ্গে জুটেছে আরও কিছু খুচরা আধুলি। এরা সব ঐক্য করেছে।

শনিবার জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় এবং একই সাথে জোটের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবির ঘোষণাও দেয়া হয়। বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে নিয়ে গড়া এ জোটে রাখা হয়নি সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্প ধারাকে। তবে জোটের ঘোষণার পরপরই এ জোট নিয়ে নানা মন্তব্য আসতে থাকে ক্ষমতাসীন সরকার ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে।

এমনকি আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা অনেকে ফেসবুকে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দিচ্ছেন।

রোববারই সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সাত দফা নিয়ে যারা এক হয়েছেন তারা শেখ হাসিনার সরকার 'মাইনাস' করে 'রাজাকার, বিএনপি ও জঙ্গিদের রাজনীতি প্লাস করার' প্রস্তাব করেছেন। তার দাবি, সাত দফার প্রথম সারকথা হচ্ছে, একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে ভোটের আগে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনা।

তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, ক্ষমতাসীনদের সব স্তর থেকে বক্তৃতা বিবৃতি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবজায়গাতেই একযোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে নতুন জোটের বিরুদ্ধে। তার মতে, এটি সরকার বা সরকারি দলের একটি রাজনৈতিক কৌশল, যাতে করে নতুন জোটটি কোনোভাবে তার সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে না দাঁড়াতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদাহরণ তুলে ধরে দিলারা চৌধুরী বলছেন, নতুন জোটের নেতাদের নানাভাবে চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সমমনা সবার দিক থেকেই এটা চোখে পড়ছে।

তবে এ সব অভিযোগ মানতে রাজী নন আওয়ামী লীগের নেতারা। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে তাদের তরফ থেকে যে প্রতিক্রিয়া আসছে সেটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন তিনি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোটেই চিন্তিত নই। তবে আমরা উৎকণ্ঠিত তার ষড়যন্ত্র নিয়ে। ওয়ান ইলেভেনের কথা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। এভাবেই একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাই এখন যখন তিনি আবারও একই তৎপরতা শুরু করেন তখন কিছু প্রতিক্রিয়া তো আসবেই।

তিনি বলেন, কোনো আক্রমণাত্মক প্রচারণা তারা করছেন না, তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা জনগণের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরছেন মাত্র। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের কারণে কামাল হোসেনের কিছুটা নাম ডাক হয়েছে। আর সেটা ব্যবহার করেই তিনি বারবার ষড়যন্ত্র করছেন। এ কারণেই আমরা জনগণকে সতর্ক করছি মাত্র।


আরো সংবাদ



premium cement
শুরুতেই উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজের আবেদন নিষিদ্ধ করল জান্তা সরকার তানজিদ-সাইফুদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৭ জন আটক ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার

সকল