০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিএনপির জনসভা শুরু, বিপুল নেতা-কর্মীর উপস্থিতি

বিপুল নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে শুরু হয়েছে জনসভা। - ছবি: সংগৃহীত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। করছে বিএনপি। তবে এই সভার অনুমতি পেতে দলটিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বেশ কয়েকবার সভার তারিখ পরিবর্তন করার পর জনসভা করার অনুমতি দিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে শনিবারের রাতের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে দলটি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির আজকের জনসভা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে দুপুর ২টায় জনসভা শুরুর নির্ধারিত সময় থাকলেও দুপুর ১২টার আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

জনসভা শুরুর পর স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান। এরপর অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা পযায়ক্রমে বক্তব্য রাখছেন। জনসভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।

জনসভায় উপস্থিত আছেন দলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের সিনিয়র নেতারা।

সমাবেশে বিএনপির পক্ষ থেকে সাতটি দাবি পেশ করা হবে।

এ ছাড়া বিএনপির আজকের জনসভা থেকে দলটির আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়ে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দিবেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

এদিকে বিএনপির আজকের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। নজরদারি করছে গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। মূলত যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে জনসভা ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে ২২ শর্তে বিএনপিকে জনসভা করা অনুমতি দেয়া হয়।

 

আরো পড়ুন: সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮,

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় আসতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। রোববার বেলা ২টা থেকে জনসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টার আগে থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী।

কারাবন্দি দলের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই জনসভা করছে বিএনপি। 


এদিকে ডিএমপির ২২ দফা নির্দেশনা মেনে বিএনপি এই সমাবেশ করছে।

জনসভায় যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড ভাবে জড়ো হয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন তারা। তাদের অনেকের হাতে দেখা যাচ্ছে নানা রঙ-বেরঙের ও স্লোগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড।

জনসভা শুরুর আগেই সভাস্থল নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত।

জনসভাকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। শাহবাগ, মৎস্যভবন মোড়সহ উদ্যানের আশপাশে সাঁজোয়া যান ও জলকামান নিয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

জনসভা থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

আরো পড়ুন: যে ২২ শর্তে জনসভা করার অনুমতি পেল বিএনপি
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আগামীকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। আজ সকাল ১১ টার দিকে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপিতে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠক করে। এসময় তাদের ২২ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার কথা জানানো হয়।

প্রতিনিধি দলে থাকা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ জানান, মহানগর পুলিশ কমিশনার আধা ঘন্টা তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। আমরা সমাবেশের অনুমতি পেয়েছি। আগামীকাল দুপুর ২ টায় সমাবেশ শুরু হবে।

জানা গেছে, বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হিসেবে সমাবেশ থেকে ৭ দফা দাবি তুলে ধরবে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।

যে ২২ শর্তে জনসভার অনুমতি দেয়া হলো :

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জনস্বার্থ নিরাপত্তা বিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।

৩. উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

৪. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভ্যন্তরে জনসভার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

 ৬. নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকল্পে পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।

৭. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

৮. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ গেটে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং জনসভায় আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর এর মাধ্যমে চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভিহিকেল স্ক্যানার সার্চ মিরর এর মাধ্যমে জনসভাস্থলে আগত সকল যানবাহন তল্লাসির ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলে অগ্নি নিবার্পন ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১১.অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

১২. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা রাস্তায় প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না।

১৩. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে লোক সমাগম হওয়া যাবে না।

১৪. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

১৫. অনুমোদিত জনসভা ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

১৬. জনসভা শুরুর ০২ (দুই) ঘন্টা পূর্বে লোকজন সভাস্থলে আসতে পারবে।

১৭. ১৭.০০ ঘটিকার মধ্যে জনসভার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

১৮. অনুমোদিত সময়ের পূর্বে কিংবা পরে রাস্তায় কোন অবস্থাতেই সমবেত হওয়া যাবে না ও যান চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১৯. কোন ধরনের লাঠি-সোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি রড ব্যবহার করা যাবে না।

২০. মিছিল সহকারে সভাস্থলে আসা যাবে না।

২১. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২২. জনস্বার্থে কতৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement