২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিলেটে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠে নামছে ঐক্যফ্রন্ট

সিলেটে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠে নামছে ঐক্যফ্রন্ট - ছবি : সংগ্রহ

সিলেটে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রোববার বিকেলে সিলেটের রেজিস্ট্র্রি মাঠে তাদেরকে আগামী ২৪ অক্টোবর সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এ সমাবেশে ফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা এক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে নীতিনির্ধারণী বক্তব্য রাখবেন। এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপসহ ৭ দফা দাবি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। 

জানা গেছে, সিলেট বিএনপিই মূলত সব দলকে সাথে নিয়ে সমাবেশে বড় ধরনের শোডাউনের কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের চারটি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রথমে হজরত শাহজালাল (রহ:) ও হজরত শাহপরানের (রহ:) মাজার জিয়ারত করবেন। পরে তারা সমাবেশে যোগ দেবেন। 
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতারা বিমানে সিলেটে যাবেন। অন্য নেতারা যাবেন সড়কপথে। 

সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেছেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার লিখিত চিঠি তারা পেয়েছেন। ১৪ শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছে। বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সমাবেশের প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ সরকারের দুঃশাসনে পিষ্ট। তারা মুক্তি চায়। এ কারণেই তারা সমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। 
গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও বিএনপি মিলে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরপর একাধিক বৈঠক করে ফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে ২৩ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশের ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে পুলিশ সমাবেশের অনুমতি নাকচ করে দেয়ায় এক দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। গত দুই-তিন ধরে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে নানা শঙ্কা ছিল। অনুমতি না পেলেও সিলেটে যাওয়ার কর্মসূচি বহাল রাখেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু গতকাল বিকেলেই তাদের সমাবেশের অনুমতির কথা জানিয়ে দেয় পুলিশ। 
জানা গেছে, সমাবেশের অনুমতি পেয়ে বৈঠক করেছে ফ্রন্টের নেতারা। সিলেটে বড় ধরনের শোডউনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে বিএনপি। 

সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সাত দফা দাবিতে মাঠে নেমেছে ঐক্যফ্রন্ট। দাবিগুলোর অন্যতম হচ্ছে- নির্বাচনকালীন নিরেপক্ষ সরকার গঠন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দেয়া ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েন। 

এসব দাবিতে সিরিজ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের পর আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা করবে ঐক্যফ্রন্ট। এরই মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের সাথে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন কূটনীতিকদের আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। ড. কামাল যে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেখিয়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন, তাতে ফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। আগামী ২৬ অক্টোবর রাজধানীতে শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তারা। জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট। এরপর দাবি আদায়ে চূড়ান্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে এরই মধ্যে সাংগঠনিক রূপ দেয়া হয়েছে। নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং এবং সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৩ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটিতে আছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো: শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও মনিরুল হক চৌধুরী, গণফোরামের শফিকুল্লাহ, মোস্তাফা আহমেদ ও জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, তানিয়া রব ও শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং নাগরিক ঐক্যের মমিনুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ কায়সার ও ডা: জাহেদুর রহমান।

জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা রয়েছেন ‘স্টিয়ারিং’ কমিটিতে। এর বাইরে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখা হয়েছে। 
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান নয়া দিগন্তকে বলেন, সিলেটে বড় সমাবেশ হবে। চট্টগ্রামেও সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাত দফা দাবি অদায় করা হবে। 
সিলেট ব্যুরো জানিয়েছে, সিলেট মহানগর পুলিশের নগর বিশেষ শাখার উপকমিশনার কামরুল ইসলাম স্বারিত অনুমতিপত্রে সমাবেশ ঘিরে ১৪টি শর্তের কথা জানানো হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্তসংখ্যক নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ধরনের বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়া যাবে না। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে কিংবা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে এ ধরনের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান বা কোনো ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত সময়ের (২টা থেকে ৫টা) মধ্যে কর্মসূচি শেষ করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে জনগণের জানমালের য়তি করার আশঙ্কা সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না বা এ রূপ কথাসংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা যাবে না। মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহারের ফলে আশপাশের জনগণের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাগ, সিগারেট, দিয়াশলাই, লাইটার ইত্যাদি নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না। কোনো ধরনের লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র বা লাঠিযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন ইত্যাদি বহন করা যাবে না। কোনো ধরনের বৈধ অস্ত্র সাথে আনা বা বহন করা যাবে না। সুরমা পয়েন্ট হতে তালতলা পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। অনুষ্ঠানস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আয়োজনকারী কর্তৃপ দায়ী থাকবেন। উল্লিখিত শর্তাবলির যেকোনো একটি আ একাধিক লঙ্ঘন/ অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্তৃপ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত অনুমতি আদেশ বাতিল করার মতা সংরণ করেন।

সংলাপের জন্য সরকারকে চিঠি দেবে ঐক্যফ্রন্ট : তফসিল ঘোষণার আগে সংলাপসহ ৭ দফা জানিয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে নতুন রাজনৈতিক মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রোববার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের এক বৈঠকের পর জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে বলেন, আমরা সরকারকে জানাব যে, আমরা যারা অংশী, আমরা যারা শরিক, আমরা যারা নির্বাচন করতে চাই তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা না করে যেন তফসিল ঘোষণা না করা হয়। সে জন্য আমরা ৭ দফা দাবি সরকার ও সরকারি দলকে চিঠি দিয়ে জানাব। একইভাবে আমাদের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও আমাদের একটি প্রতিনিধিদল যাবে।

রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে এ বৈঠক বসে বিকেল ৫টায়। চলে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী। গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেন ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা ল্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মনিরুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহাম্মদ শাহজাহান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, মোকাব্বির খান, শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মো: মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, জাহেদুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীও ছিলেন। গণফোরাম কার্যালয়ে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।

কবে সরকার ও মতাসীন দলকে চিঠি দেবেন প্রশ্ন করা হলে রব বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্যাডে লিখিতভাবে ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে চিঠি যাবে। তবে কবে দেয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। যতটুকু সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমি আপনাদেরকে বলেছি। যুক্তফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আজকে সকালে চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিলেটের জনসভার আগেই তার মুক্তি দাবি করছি।

তিনি জানান, আগামী ২৪ অক্টোবর সিলেটে রেজিস্ট্রি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

আ স ম রব বলেন, আমরা বলেছি আমরা যেকোনো উপায়ে সিলেটে যাবোই। আমাদের যাওয়ার ঘোষণায় সরকার বুঝেছে -বাধা দিলে বাধবে লড়াই , এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা কোনো চাপের কাছে, কোনো স্বৈরাচারী আচরণের কাছে মাথা নত করব না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এটা বুঝতে পেরে সরকার সিলেটের জনসভার এই অনুমতি দিয়েছে। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তাদের এই শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য। আমি আশা করি, আগামী ২৭ তারিখে চট্টগ্রামের জনসভারও তারা অনুমতি দেবে। রাজশাহীর জনসভার তারিখ ৩০ অক্টোবর থেকে পিছিয়ে ২ নভেম্বর করা হয়েছে। তিনি জানান, সুশীল সমাজ-বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় হবে ২৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় হোটেল পূর্বাণীতে। এ ছাড়া শিকদের সাথেও মতবিনিময় করা হবে। যার সময়সূচি নির্ধারণ হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনকে দ্রত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

সকল