২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিবিয়া সঙ্কট নিয়ে বার্লিন শান্তি সম্মেলনে চোখ বিশ্বের

-

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ৯ মাস ধরে চলা সঙ্ঘাতের রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে জার্মানিতে বসছে গুরুত্বপূর্ণ এক শান্তি সম্মেলন। দেশটির বিবাদমান প্রধান দু’টি দলের পাশাপাশি তাদের বিদেশী সমর্থক এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা আজ রোববার উচ্চপ্রত্যাশিত শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বার্লিনে সমবেত হয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল এই সম্মেলনে অংশ নিতে তুরস্ক, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও অন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজ বার্লিনে দিনব্যাপী এই সম্মেলনে লিবিয়ার জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত সরকার ও বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি হয় লিবিয়ার জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত সরকার ও বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। এ উপলক্ষে গত ১২ জানুয়ারি মস্কোতে আয়োজিত এক বৈঠকে ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল সাররাজ স্বাক্ষর করলেও স্বাক্ষর না করেই নাটকীয়ভাবে রাশিয়া ত্যাগ করেন খলিফা হাফতার। মস্কোর ওই খসড়া চুক্তিতে অনেক দাবি মানা হয়নি বলে দাবি করেন হাফতার। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে বার্লিনে সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়। তবে এ সম্মেলনকে ঘিরে উচ্চাকাক্সÿার বিষয়ে সতর্ক রয়েছে জার্মান সরকার। বার্লিন বলছে, কেবল একটি বৈঠকে লিবিয়ার সঙ্কটের সমাধান হবে না; কিন্তু জাতিসঙ্ঘের তত্ত¡াবধানে একটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। গত নয় মাস ধরে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ও হাফতার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। গত শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট বলেছেন, লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সাররাজ ও বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতার উভয়েই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও বার্লিনের সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্টে সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। বার্লিন সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর অংশ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া খলিফা হাফতারের সমর্থক দেশ মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাজিদ তেবাউন ও কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসু নুগুয়েসুও বার্লিন সম্মেলনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। গভীরভাবে বিভক্ত লিবিয়ায় বর্তমানে দু’টি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রশাসন রয়েছে; একটি হলো জাতিসঙ্ঘসমর্থিত ত্রিপোলিভিত্তিক জিএনএ এবং আরেকটি পূর্ব শহর তবরুকের হাফতার ও এর মিত্র জোট।

 


আরো সংবাদ



premium cement