২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরান-ব্রিটেন উত্তেজনায় বাড়তে পারে তেলের দাম

-

পারস্য উপসাগরে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলের ট্যাঙ্কার ইরান আটক করার পর থেকে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কিছুটা ওঠানামা করছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার কারণে তেলের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হরমুজপ্রণালী দিয়ে তেলবাহী আন্তর্জাতিক জাহাজের যাতায়াতের নিরাপত্তার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় এবারের গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে মোটরযান নিয়ে কাজ করা একটি ব্রিটিশ সংস্থা।
ব্রিটেন ইরানকে এর মধ্যেই সতর্ক করেছে, আটক করা ব্রিটিশ জাহাজ স্টেনা ইমপেরো যদি ফেরত দেয়া না হয় তাহলে ‘কঠোর’ কূটনৈতিক পরিণতি ভোগ করা হতে পারে ইরানকে। তেলের জোগান বাধাগ্রস্ত হলে গ্রাহকপর্যায়ে বিশ্বব্যাপী পেট্রলের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জিব্রাল্টারে ব্রিটিশ সৈন্যদের দ্বারা ইরানের একটি তেলের ট্যাঙ্কার জব্দ করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলের ট্যাঙ্কার স্টেনা ইমপেরো আটক করে। এর আগে বেশ কয়েক মাস ধরে ইরান আর যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে আগ্রাসী ব্যবহারের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলে আসছিল। ওই সময়ে হরমুজপ্রণালীতে ছয়টি তেলের ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। এর ফলে ওই অঞ্চলে মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান হয়তো তাদের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত হরমুজপ্রণালীই বন্ধ করে দেবে। হরমুজপ্রণালী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। এর মাধ্যমে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। যদি তাই হয়, তাহলে পৃথিবীর মোট তেলের মজুদের এক-পঞ্চমাংশ এবং মোট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদের এক-চতুর্থাংশের সাথে বিশ্বের সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যাবে। বেশির ভাগ মনে করেন, এই সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। তবে ইরান যদি আসলেই হরমুজপ্রণালী বন্ধ করে দেয় তা হলে তেলের দাম অনেকটা বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের চেম্বার অব শিপিংয়ের প্রধান ডেভিড বেলস্টন।


আরো সংবাদ



premium cement