২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের সাথে সঙ্ঘাত নয় সহায়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তেহরানের সাথে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের এক উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডারের হুঁশিয়ারির জবাবে রোববার যুদ্ধের বিপক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানান ট্রাম্প।
ইরানের এক উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, পারস্য অঞ্চলে যেকোনো সংঘর্ষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার ফলে এ অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। তার এ হুঁশিয়ারির জবাবে রোববার যুদ্ধের বিপক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানান ট্রাম্প। যুদ্ধ নয়, বরং চলমান সঙ্কট নিরসনে ইরানের সহায়তা চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। উপসাগরীয় এলাকায় তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা ও ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে গত শনিবার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা কী ধরনের, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি। এদিকে ইরান তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার কথা অস্বীকার করলেও মার্কিন সামরিক ড্রোনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তা ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করেছে। আমেরিকাভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ প্রোগ্রামে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধে জড়ানোর পক্ষপাতী নই।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোববার ট্রাম্পের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা নিরসনে তেহরানের সাথে আলোচনায় বসতে চায় ওয়াশিংটন।
পম্পেও বলেন, কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই বৈঠকে অংশ নিতে রাজি ওয়াশিংটন। ইরান খুব ভালো করেই জানে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে। ইরান রাজি হওয়ার সাথে সাথে এই আলোচনা শুরু হতে পারে বলে আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন পম্পেও। যুক্তরাষ্ট্র সেই দিনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি। ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন পম্পেও। গতকাল সোমবার ইরানের ওপর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ অবরোধ আরোপের কথা জানিয়েছেন পম্পেও। উপসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে ইরান যে সম্পদ ব্যবহার করে, তার পরিমাণ সীমিত করতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement