জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রশ্নে মিসর হাঙ্গেরির ভিন্ন অবস্থান
- রয়টার্স ও ওয়াশিংটন পোস্ট
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
জনসংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশে দেখা গেছে দুই চিত্র। ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি চাইছে জনসংখ্যা বাড়াতে। আর মধ্যপ্রাচ্য ঘেঁষে থাকা আফ্রিকার দেশ মিসর চাচ্ছে জনসংখ্যা কমাতে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য হাঙ্গেরি ঘোষণা করেছে আর্থিক প্রণোদনা। অন্য দিকে জনসংখ্যা হ্রাসে মিসর কমিয়ে দিচ্ছে আর্থিক সহায়তা! অবশ্য দুই দেশেই সফলতা নিয়ে আশাবাদ কম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাঙ্গেরি যে ধরনের আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তা বেশি সন্তান জন্মদানে প্রত্যক্ষভাবে উৎসাহিত করতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা হয়েছে জাপানের প্রসঙ্গ। অন্য দিকে মিসরে জন্মহার হ্রাসের সরকারি উদ্যোগকে শ্লথ করে দিচ্ছে অশিক্ষা, ঐতিহ্যগত রীতি, দারিদ্র্য ও ধর্মীয় ব্যাখ্যা। জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগও তেমন কাজে আসছে না।
মিসরের জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। জনসংখ্যা প্রতি বছর ২৬ লাখ করে বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি মন্তব্য করেছেন, মিসরের সবচেয়ে বড় দু’টি ঝুঁকির একটি হচ্ছে উগ্রবাদ, অপরটি হচ্ছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি। মিসর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দু’টির বেশি শিশু না নেয়ার নীতি বাস্তবায়নের জন্য। এ লক্ষ্যে দেশটি জাতিসঙ্ঘের দেয়া অর্থের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নেও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ ও সচেতনতা সৃষ্টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যদিও এসব কর্মসূচিতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদেরই কেউ কেউ তিনটি সন্তান নেয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন!
নিম্ন জন্মহার এবং নাগরিকদের অন্যান্য দেশে থিতু হওয়ার প্রবণতার কারণে এক প্রজন্মের মধ্যেই হাঙ্গেরির জনসংখ্যা ১০ লাখ কমে গেছে। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ৯৮ লাখ। এতে ধীরে ধীরে দেখা দিতে শুরু করেছে শ্রম সরবরাহে ঘাটতি। কিন্তু দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান অভিবাসীদের গ্রহণ করে শ্রমবাজারের এই সংকট নিরসনের ঘোরতর বিরোধী। তিনি চান, দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি। গত সপ্তাহে ওরবান ঘোষণা করেছেন, বেশি সদস্যের পরিবারগুলোর জন্য দেয়া হবে ভর্তুকি, কর রেয়াত, বিশেষ অনুদান ও গাড়ি। বেশি সন্তান নিয়ে একটি পরিবার পেতে পারে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। চারটি বা তারও বেশি শিশুর আছে এমন পরিবারগুলোই পাবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আর্থিক আনুকূল্য।
ওরবানের ভাষ্য, ‘ইউরোপে দিন দিন শিশু জন্মের হার কমে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশের জন্য এর সমাধান হচ্ছে অভিবাসীদের নিয়ে আসা। কিন্তু আমাদের দরকার হাঙ্গেরীয় শিশু। অভিবাসীদের ডেকে নিয়ে আসার মানে হচ্ছে আত্মসমর্পণ করা।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা