২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাকিস্তানের পাল্টা কূটনীতি

-

কাশ্মিরে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার ইস্যুকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছে পাকিস্তান ও ভারত। নয়াদিল্লি ‘প্রতিশোধ নেয়ার’ হুমকি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যকে বিষয়টি জানায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তহমিন আনজুয়া গতকাল শনিবার পাঁচটি দেশÑ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তার দফতরে আমন্ত্রণ জানান। তহমিন আনজুয়া তাদেরকে জানান যে, তার দেশ ভারতের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে বৃহস্পতিবার এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। প্যামপোর শহরে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের বহন করা একটি বাসের ওপর বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে অন্তত ৪৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ভারতের সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে এবারের ঘটনা একেবারে ভিন্ন। গত কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করে এ হামলার কঠোর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। মূল সমস্যা এখানেই। কারণ কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধ হয়েছে। আর দুই দেশের সীমান্তে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ লেগেই আছে। কাশ্মিরের এই হামলা কি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শত্রুতাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাবে? এটাই এখন মূল প্রশ্ন।

 


আরো সংবাদ



premium cement