২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আস্থা ভোটপ্রক্রিয়া শুরু লড়াইয়ের ঘোষণা মের

গতকাল হাউজ অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে : ইন্টারনেট -

দলীয় নেতৃত্বের আস্থা ভোটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সর্বস্ব দিয়ে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সতর্ক করেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলে ব্রেক্সিট বিলম্বিত হতে পারে। অনিশ্চয়তার মুখে হুমকিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ।
থেরেসার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ডাক দেয়ার পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে এ ভোটাভুটি হওয়ার কথা। দলীয় নেতৃত্ব প্রশ্নে নতুন করে ভোটাভুটি আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’তে ন্যূনতম ৪৮টি চিঠি জমা হওয়ার পর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি থেরেসা মে। আস্থা ভোটে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে হবে তাকে। ব্রিটিশ সংবিধান অনুযায়ী, সরকার গঠনকারী দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে (ব্রেক্সিট) ব্রিটিশ নাগরিকেরা ভোট দেয়ার পরপরই সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন থেরেসা মে। তবে নিজস্ব ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। এমনকি নিজ দলেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে থেরেসাকে। এমন অবস্থায় পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আস্থা ভোটে অংশ নেবেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা।
আগাম নির্বাচনে বড় ধরনের পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইইউর সাথে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়েও বেশ চাপে আছেন এ নারী। ইউরোপীয় নেতাদের সাথে সমঝোতার পর যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা তিনি গেলাতে চাইছেন তা দলের ভেতরেই তুমুল সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
আস্থা ভোটে থেরেসা মের পক্ষে যদি ভোটের সংখ্যা বেশি থাকে তবে তিনি উতরে যাবেন। অন্তত আরো এক বছরের জন্য তার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। আর যদি আস্থা ভোটে থেরেসা মে হেরে যান, তবে কনজারভেটিভ নেতৃত্ব প্রশ্নে আবারো প্রতিযোগিতা হবে এবং থেরেসা মে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। আবার এমন যদি হয় যে, থেরেসা মে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু সবার সমর্থন পাননি, তবে তিনি চাইলে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল হওয়ায় যে ব্যক্তি এর নেতৃত্বে থাকবেন তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও টোরিরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদেই থাকতে পারবেন মে। নতুন নেতৃত্ব ঠিক করতে কনজারভেটিভদের ছয় সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
ব্রেক্সিট নিয়ে টালমাটাল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধী লেবার পার্টিরও। চলতি সপ্তাহে মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাটি নিয়ে হাউজ অব কমন্সে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটে ওই পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যাত হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অনাস্থা আনার প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছিলেন লেবার নেতা জেরমি করবিন। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে ভোট স্থগিত করে দেন মে। এরপর দলের ভেতরেই তাকে নেতৃত্বের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান ব্র্যাডি বলেছেন ‘আমরা দলের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছি। অবশ্যই উত্তরসূরি নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকছেন ।’
আস্থা ভোটকে সামনে রেখে বুধবার এক বিবৃতিতে থেরেসা মে বলেন, ‘২১ জানুয়ারির নির্ধারিত আইনি সময়সীমার মধ্যে নতুন একজন নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করা যাবে না। এমন অবস্থায় নেতৃত্ব নির্ধারণ প্রশ্নে নির্বাচন আয়োজনের কারণে ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ পার্লামেন্টে বিরোধী এমপিদের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন নেতা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পুনঃআলোচনা করার সময় পাবেন না এবং ২৯ মার্চ নাগাদ আইন পাস করাতে পারবেন না। সুতরাং সবার আগে তার কাজ হবে আর্টিকেল ফিফটি বাতিল করা কিংবা এর সময়সীমা বাড়ানো, ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা কিংবা ব্রেক্সিট একেবারে থামিয়ে দেয়া; অথচ আমাদের জনগণ চায় আমরা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাই।’
থেরেসা মে মনে করেন, নেতৃত্ব প্রশ্নে নির্বাচন দিয়ে আলোচনার মৌলিক বিষয়বস্তু কিংবা পার্লামেন্টারি গণিতকে পরিবর্তন করা যাবে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে যদি কয়েক সপ্তাহ নষ্ট করে ফেলি, তবে তা কেবল আরো বিভাজনই তৈরি করবে। দেশের সেবায় আমাদের একসাথে দাঁড়াতে হবে। ওই সবে আমাদের জাতীয় স্বার্থ পূরণ হবে না। তাতে কেবল জেরেমি করবিন ও ম্যাকডনেলের স্বার্থ রক্ষা হবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন

সকল