ফ্রান্সের বিক্ষোভের ঢেউ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও

ফ্রান্সে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ লেগেছে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও। ফরাসি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানাতে বিক্ষোভ হয়েছে নেদারল্যান্ডসেও। এ ছাড়া, নানা দাবিতে উত্তাল ছিল হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, তিউনিসিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ। ফ্রান্সজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর এবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়াম। শনিবার ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী চারলেস মাইকেলের পদত্যাগের দাবিতে ফ্রান্সের আদলে ‘ইয়েলো ভেস্ট পরে রাস্তায় জড়ো হয় হাজারো মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পানিকামান নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, উচ্চহারে করারোপ, দৃব্যমূল্যের দাম বাড়ানো এবং জীবনযাপনের উচ্চব্যয়ের বিরুদ্ধেই তাদের এ প্রতিবাদ।
পুলিশ বিক্ষোভে হামলা চালিয়ে প্রমাণ করল, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না। এই সরকারের প্রতি কারো সমর্থন নেই। আমি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাপনেরর উচ্চব্যয়ের প্রতিবাদে আমরা আজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বের করেছিলাম। পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
প্যারিসের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে বিক্ষোভ হয়েছে প্রতিবেশী আরেক দেশ নেদারল্যান্ডসেও। শনিবার ইয়েলো ভেস্ট পরে আমসটারডামের রাস্তায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে কয়েক শ’ মানুষ। এ সময় তারা প্যারিসের বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান।