২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিআইয়ের খাশোগি খুনের তদন্তের ফল বিন সালমানের জন্য ‘বড় আঘাত’

মোহাম্মাদ বিন সালমান -

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) তাদের আড়িপাতা দুইটি ফোনকল পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছে যে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিআইয়ের এই মন্তব্য সৌদি আরবের কার্যত শাসক বিন সালমানের জন্য এ যাবৎকালের ‘সব চেয়ে বড় আঘাত’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সিআইএ এ উপসংহারের মাধ্যমে তাকে এ কেলেঙ্কারির মূল হোতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করল যা গোটা অঞ্চলকে অব্যাহতভাবে প্রকম্পিত করে তুলতে পারে।
প্রথমে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় এই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ পায়। ওই পত্রিকার কলামিস্ট ছিলেন খাশোগি। এই রিপোর্ট হলো, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যায়নে বিন সালমানকে যুক্ত করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন যুবরাজকে এ ভয়াবহ হত্যার অপরাধ তদন্তের বাইরে রাখার চেষ্টা চালানোর পর সিআইয়ের এ উপসংহার প্রকাশ পেল। এ তদন্তে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কন্স্যুলেটের অভ্যন্তরে গত ২ অক্টোবর খাশোগিকে হত্যা করা হয়। অবশ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুবরাজের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে সিআইএ তার ব্যাপারে এমন উপসংহারে পৌঁছেছে তা নয় বলে মনে করা হচ্ছে। একজন ইউরোপীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, সিআইয়ের তদন্তের ফল সৌদি আরবের সরকারি বিবরণের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
সিআইএ আড়িপাতা যে দু’টি ফোন কলের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় তার একটি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ ও তার ভাই যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের মধ্যকার। তারা খাশোগিকে রিয়াদে ফিরিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে কথা বলেন। দ্বিতীয় ফোন কলটিতে প্রিন্স খালেদ খাশোগিকে নিশ্চয়তা দেন যে, ইস্তাম্বুলের সৌদি কন্স্যুলেটে যাওয়া তার জন্য নিরাপদ। তবে খালেদ খাশোগির সাথে কথপোকথনকে অস্বীকার করে এ ব্যাপারে প্রমাণ দিতে মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে বলেছেন। এ ছাড়া খাশোগি হত্যার পর হত্যা মিশনের একজন যুবরাজের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘আপনার বসকে বলুন কাজটি সমাধা করা হয়েছে।’ এ ফোনের বক্তব্যও সিআইয়ের রিপোর্টকে শক্তিশালী করেছে। এসব ফোনকল যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানকে বেকায়দায় ফেলবে বলে মনে করছেন পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
ট্রাম্প সিআইয়ের পরিচালক গিনা হাসপেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পের সাথে ফোনে তাদের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেছেন। গত শনিবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া সফররত ট্রাম্প সিআইয়ের রিপোর্টকে ‘অত্যন্ত অপরিপক্ব’ বলে বর্ণনা করেন, তবে তিনি এ-ও বলেন যে, যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের জড়িত থাকার ‘সম্ভাবনাও’ আছে। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট বলেছেন, ‘সম্প্রতি রিপোর্ট থেকে আভাস ফুটে উঠেছে যে, মার্কিন সরকার চূড়ান্ত উপসংহারে উপনীত হয়েছে, আসলে এটি ঠিক নয়। বরং মার্কিন প্রশাসনের প্রচলিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি ও ট্রাম্প মার্কিন-সৌদি কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
যুবরাজের শক্ত সমর্থক ট্রাম্প খাগোশি হত্যার ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে মনে হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা রাজদরবারের গেট প্রসারিত হওয়ায় ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় পক্ষের সিনেটররা যুবরাজের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শনিবার ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর বব কর্কার এক টুইটে বলেন, খাশোগি হত্যার জন্য সবাই এমবিএসকে দায়ী করছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রায় কার্যকর করার আগেই এমবিএসকে দায়ী করার বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল