২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে সহযোগিতা কেউ রুখতে পারবে না : চীন

-

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর সাথে চীনের সহযোগিতার সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে ওই রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের বৈঠকের আগে গতকাল মঙ্গলবার দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এ রাষ্ট্রগুলো কোনো রাষ্ট্রের বলয়ভুক্ত নয়।
বিভিন্ন ধরনের সম্পদে সমৃদ্ধ এসব দেশের সাথে চীন সহযোগিতার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াও বিভিন্ন ধরনের সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে চীনের প্রভাবে ভাগ বসাতে চাইছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত সপ্তাহে ঘোষণা দেন, তার দেশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে ২১৮ কোটি ডলারের অনুদান ও স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করবে। এ সপ্তাহের শেষে পাপুয়া নিউগিনিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আটটি দেশের নেতাদের সাথে শি জিনপিংয়ের বৈঠকের কথা রয়েছে। উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জেং জিগুয়াং এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, ওই বৈঠকে দেশগুলোকে আরো বেশি সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হবে। এসব দেশের সাথে বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে জেং বলেন, এই দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও বিনিময় সম্পর্কের মধ্যে অন্য কোনো দেশের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ানো উচিত নয়। এসব সহযোগিতার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কোনো কারণই নেই। গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে এক বৈঠকে চীনা কূটনীতিক অস্ট্রেলিয় কূটনীতিককে বলেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বেইজিং ও ক্যানবেরার উচিত শত্রু হিসেবে বিবেচনা না করে একে অপরকে সহযোগিতা করা। জেং বলেন, এসব রাষ্ট্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন অন্য দেশের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী। প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত এ রাষ্ট্রগুলোর জরুরি সাহায্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দেয়া এবং টেকসই উন্নতি অর্জনে তাদের সহায়তা করা। তিনি বলেন, এসব রাষ্ট্র কোনো দেশেরই বলয়ভুক্ত নয়। তাই সবারই উচিত একত্রিত ভাবে তাদের সাহায্য করা।
২০১১ থেকে চীন এসব দেশের পেছনে রেয়াত ঋণ এবং অনুদান বাবদ ১৩০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার পর বেইজিং এ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে, চীনের এই সহযোগিতার ফলে শেষ পর্যন্ত তারা ঋণের দায়ে ডুবে যাবে। এ সপ্তাহের শেষে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে পাপুয়া নিউগিনি, ফিজি, ভানুয়াতু, সামোয়া, মাইক্রোনেশিয়া, দ্য কুক আইল্যান্স, টোঙ্গা ও নিউয়ের নেতাদের সাথে আলোচনায় বসবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাপুয়া নিউগিনিতে অ্যাপেক সম্মেলনের আগে গত বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার এ বৈঠক হতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্য ছয়টি দেশের সাথে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকায় এ বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement