০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ব্রেক্সিট নিয়ে ফের গণভোটের দাবিতে লন্ডনে ৭ লাখ মানুষের বিক্ষোভ চুক্তির ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন : থেরেসা মে

-

ব্রেক্সিট ইস্যুতে গতকাল মঙ্গলবার আবারো গণভোটের দাবি জানিয়েছে প্রায় সাত লাখ ব্রিটিশ নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যখন চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সংগ্রাম করছেন এবং ব্রেক্সিট চুক্তির শতকরা ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে সোমবার হাউজ অব কমন্সকে জানিয়েছেন, তখন এসব মানুষ লন্ডনের রাজপথে অবস্থান নিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আবারো গণভোটের আয়োজন করা হোক। বলা হচ্ছে, এক দশকের মধ্যে এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় জনসমাগম। অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ লন্ডনের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। মাইলের পর মাইল শুধু মানুষ আর মানুষ। এর আগে ব্রিটেন সর্বশেষ এ ধরনের জনসমাগম দেখেছে ২০০৩ সালে। তখন ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করে রাজধানীতে জড়ো হয়েছিল ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া কনজারভেটিভ পার্টির এমপি আনা সুব্রি বলেন, এক সময় আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা অনেক। আমরা গণভোটের মাধ্যমে এ অচলাবস্থার অবসান ঘটাব। তিনি বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পর কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপি ব্যক্তিগতভাবে দ্বিতীয় গণভোটের পক্ষে ছিলেন। তারাও এ বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির এমপি লায়লা মোরান বলেন, বিক্ষোভে বিপুল জনসমাগম বুঝিয়ে দেয় যে, নতুন গণভোটের দাবিতে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। বলা হচ্ছে যে, নতুন গণভোটের আয়োজন করা হলে তা হবে অগণতান্ত্রিক ও দেশাত্ববোধশূন্য। কিন্তু বাস্তবতা এর বিপরীত।
দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মূলত ইইউর সাথে থাকার পক্ষে। তারা যে বৃহৎ পরিসরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তা ব্রেক্সিটের সমর্থকদের থেকেও অনেক বেশি। বিক্ষোভকারীরা নীল ও সোনালি রঙের ইইউর পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। অনেকে ‘ব্রেক্সিট ব্লক’ লেখা ব্যানারও প্রদর্শন করছেন। বিক্ষোভকারীরা ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারো ভেবে মতামত দেয়ার সুযোগ দিতে নতুন করে গণভোট আয়োজন করতে ব্রিটেন সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশটি এমন একটি সময় প্রদর্শন করা হলো যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আবারো ব্রেক্সিট চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ইইউর সাথে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও এখনো সমঝোতায় আসা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাজ্যের অধীন উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে নতুন আরেকটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে ব্রেক্সিট চুক্তির ৯৫ ভাগ শর্তে দুই পক্ষ একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সোমবার হাউজ অব কমন্সে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান। তবে আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে এখনো উভয়পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এই ইস্যুতে স্থবিরতা কাটানোর জন্য ব্রিটেন সম্ভাব্য সব বিকল্পই বিবেচনা করছে বলে মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু সুন্দরবনে আগুন নেভেনি, রাতে আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে রামুতে ৬০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ ২ কারবারী আটক ৪০ ডিগ্রির নিচে নামল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে শাহজালালে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা ‘২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করবে পোশাক শিল্প’ প্যারিসে গুলিতে একজন নিহত, বেশ ক’জন আহত ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার

সকল