২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের সঙ্গে ঐক্যের প্রত্যয় কিম জং উনের ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের প্রশংসায় শি

-

বেইজিংয়ের সঙ্গে অটুট ‘বন্ধুত্ব, ঐক্য ও সহযোগিতা’ বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো চীনে সফরকালে তিনি এ ঘোষণা দিলেন। এ দিকে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করায় কিম জং উনের প্রশংসা করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুগান্তকারী বৈঠকের পর কিম তার প্রধান মিত্র চীনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের নিদর্শন হিসেবে এ সফর করলেন। গতকাল বুধবার কিমের এই দুই দিনব্যাপী চীন সফর শেষ হয়েছে। উত্তর কোরিয়া তার স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কাজ করবে না বলে বেইজিংকে আশ্বস্ত করতেই কিমের এই সফর।
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে পা রাখলেন কিম জং উন। কিম বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের স্বার্থই রার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। চীন উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক উভয় স্বার্থই সংরণ করে আসছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে চায়। তবে বেইজিংয়ের আশঙ্কা ওয়াশিংটন আর পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সখ্য বাড়লে অঞ্চলটিতে চীনের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। চীন ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প-কিমের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না। তবে চীন কিমের জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার বিমানের ব্যবস্থা করে।
১৯৫০-১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জাতিসঙ্ঘ বাহিনী ও দণি কোরিয়ার বিরুদ্ধে চীন ও উত্তর কোরিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। পরে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীা ও জাতিসঙ্ঘের দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধে চীনের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়। উত্তর কোরিয়া পরে তার স্নায়ু যুদ্ধকালীন পরীতি মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চালিয়েছে।
বুধবার কিমের এজেন্ডা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। মঙ্গলবার উত্তর কোরীয় নেতাকে গ্রেট হল অব দ্য পিপল এ মিলিটারি অর্নার গার্ডের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়। এ সময় শিশুরা তাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘সম্প্রতি কৌশলগত সহযোগিতার যে উত্তরণ ঘটেছে’ তার মূল্যায়ন করেন।
তিনি দুই দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, একতা ও সহযোগিতাকে আরো জোরদার করতে চান। এ দিকে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রশংসা করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তিনি পরমাণু কূটনীতিতে ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
চীনে কিমের সঙ্গে যৌথ সম্মেলনে শি জিন পিং বলেন, সিঙ্গাপুর বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলে আমি ভীষণ খুশি। শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা জরুরি ছিল। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় যে পরিস্থিতিই হোক না কেন। চীন-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক কখনোই পাল্টাবে না। তিনি আরো বলেন, উত্তর কোরিয়া ও চীনা নাগরিকদের বন্ধুত্ব সবসময় অটুট থাকবে। চীনের সমর্থনও কখনো কমে যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement