২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ময়মনসিংহে বিএনপির ১৩২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের ৩ মামলা

-

ময়মনসিংহের কোতোয়ালী, নান্দাইল ও ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, সোদৗ প্রবাসী বিএনপির নেতা এ কে এম রফিকুল ইসলাম ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানসহ ১৩২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলা করেছে। মামলা দায়ের হওয়ার আগেই সোদৗ প্রবাসী বিএনপির নেতা এ কে এম রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের স্বদেশীবাজার এলাকায় যানবাহনে হামলা, ভাঙচুর ও নাশকতা সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে নাশকতার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, যুগ্ম-সম্পাদক শাহ শিব্রি আহমেদ বুলু ও শ্রমিকদলের জেলা সভাপতি আবু সাঈদসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই এ মামলাটি দায়ের হয়।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগ এনে বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সৌদিআরব পূর্বাঞ্চল বিএনপির সভাপতি এ কে এম রফিকুল ইসলাম ওই মামলার অন্যতম আসামি। তাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার জানান, সৌদি প্রবাসী বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নান্দাইল বাজারস্থ নিজ বাবসভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন ও শাহীনুর মল্লিক জীবন, পৌর বিএনপির সভাপতি এ কে এম শমশের আলী ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুর রশিদ মামুনসহ ৫৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার এসআই মোঃ শাহ সেকান্দর আলী। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষনার দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার আছিম এলাকার টহলরত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় মামলার বাদী পুলিশের এস আই মোঃ শাহ সেকান্দর আলী, মোঃ সাইদুর রহমান ও এএসআই সমর দাসসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement