২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘আমাকে যেন ভুলে না যাও’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের শেষ ফেসবুক স্টাটাস - সংগৃহীত

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মঙ্গলবার সকালে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে গীতিকার কবীর বকুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় আফতাব নগরে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

মৃত্যুর আগে গত ২ জানুয়ারি সকালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের একটি ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমাকে যেন ভুলে না যাও... তাই একটা ছবি পোস্ট করে মুখটা মনে করিয়ে দিলাম।’

তিনি স্ট্যাটাসের শেষে দেশের লাল-সবুজ একটি পতাকার ছবিও জুড়ে দেন।

এর আগে গত ১৬ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল লিখেছিলেন, ‘একটি ঘরে ছয় বছর গৃহবন্দী থাকতে থাকতে আমি আজ উল্লেখযোগ্যভাবে অসুস্থ। আমার হার্টে আটটা ব্লক ধরা পড়েছে। এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।’

দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় গতবছর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একুশে পদক, রাষ্ট্রপতির পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement