২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ভোলায় মুসল্লি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ

ঢাকায় ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

বায়তুল মোকাররমে সর্বদলীয় বিক্ষোভ হনয়া দিগন্ত -

ভোলার বোরহান উদ্দিনে আল্লাহ ও মহানবী সা:কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মুসল্লিদের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে ইসলামী দলগুলো। এ ছাড়া পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সর্বদলীয় বিক্ষোভ : ঢাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন ইসলামী দল। গতকাল বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দির সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, আলহাজ শেখ গোলাম আসগর, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা আবদুল গাফফার ছয়ঘরি, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান গাজী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা আজীজুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আল্লাহ ও মহানবী সা:কে নিয়ে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মহানবী সা:-এর অবমাননাকারী ভোলার ইসকন সদস্য বিপ্লব চন্দ্র শুভকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। বি-বাড়ীয় আলেমদের শহীদ করে আওয়ামী লীগ একবার ক্ষমতা হারিয়েছিল। ভোলায় মুসল্লিদের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে ও মুসল্লিদের শহীদ করে আওয়ামী লীগ সরকার আবার তাদের পতন তরান্বিত করল। এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশে তাওহিদি জনতার আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। বক্তারা ভোলার বোরহান উদ্দিনে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও গুলিবর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসাথে আহত সব মুসল্লিকে যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার দাবি জানান। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
জামায়াত : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ এক বিবৃতিতে বলেন, ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক হিন্দু যুবক তার নিজ ফেসবুকে মহান আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল সা:কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তার প্রতিবাদে গতকাল বোরহান উদ্দিনে আপামর তৌহিদি জনতার ব্যানারে স্থানীয় জনগণ সমাবেশ করলে তাতে পুলিশের গুলিতে চার ব্যক্তি নিহত এবং দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনায় বাংলাদেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। তিনি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। অথচ সরকার মহান আল্লাহ ও রাসূল সা:কে অবমাননাকারী ব্যক্তিদের বিচার করার পরিবর্তে তাদের রক্ষা করার জন্য মুসলমানদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে এবং আহত করছে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের কাছ থেকে এ ধরনের ন্যক্কারজনক গর্হিত আচরণ কেউই আশা করে না। সরকার মহান আল্লাহ ও রাসূল সা:কে অবমাননাকারীদের নিরাপদে রাখার জন্য তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার কারণেই ইসলামের দুশমনরা বারবার এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থেই এ দুঃখজনক ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ভোলার বোরহান উদ্দিনের বিপ্লব চন্দ্র শুভসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, মুসল্লিদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও হামলা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। ভোলার মাটি আজ নবী প্রেমিক তৌহিদি জনতার রক্তে রঞ্জিত। ভোলায় মুসল্লিদের বুকে গুলি চালিয়ে পুলিশ লাখো কোটি তৌহিদি জনতার বুকে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ কাকে খুশি করার হয়ে জন্য বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের গুলি করেছে তা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হতাহতের দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও গুলিবর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। আহত সব মুসল্লিকে যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার দাবি জানান। একই সাথে আল্লাহ ও মহানবী সা:কে কটূক্তিকারী সংখ্যালঘু যুবকেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের নির্মম ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় দেশবাসী বিস্ময়ে হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় দেশের জনগণ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় শঙ্কিত। তিনি দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য, যথোপযুক্ত ও বাস্তবানুগ শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম : জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, এ হামলা ও হত্যাযজ্ঞ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল সা:কে নিয়ে কটূক্তি করার পর কোনো মুসলমান ঘরে বসে থাকতে পারে না। উগ্রবাদী হিন্দু কর্র্তৃক আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সা:কে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ঈমানদার তৌহিদি জনতা রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গুলি বর্ষণে শত শত মুসলমান আহত ও চারজনের শাহাদতের ঘটনায় সারা দুনিয়ার রাসূলপ্রেমীরা আহত হয়েছেন। মুফতি ওয়াক্কাস এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ইসলামবিদ্বেষী উগ্রবাদী কোনো চক্রের এজেন্টরা এই ঘটনা ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। অবিলম্বে এই জঘন্য, পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় রাসূলপ্রেমী তৌহিদি জনতার ঈমানী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
হেফাজতে ইসলাম : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ভোলায় যে ঘটনা ঘটল, তা খুবই ন্যক্কারজনক। পুলিশ মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত, কিন্তু সেই পুলিশের হাতেই চার চারটি তাজাপ্রাণ ঝরে পড়ল! কোন ভাষায় এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবো, তা জানা নেই। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, যাদের ইন্ধনে এই হামলা হয়েছে এবং পুলিশের যেসব সদস্য এমন বর্বরতা চালিয়েছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি যে হিন্দু লোক আল্লাহ ও নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে তারও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, আমরা মুসলমানরা আমাদের মহানবী সা:কে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। সুতরাং নবীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করা হবে আর আমরা বসে থাকব তা কখনো হবে না। নবীর ইজ্জত রক্ষার্থে হাজারো জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা অতীতেও অনেক আন্দোলন করেছি এবং সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে ছিলাম আল্লাহ ও রাসূল সা:-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান জাতীয় সংসদে পাস করতে। কিন্তু এ দাবি পাস না করার কারণে কিছু দিন পরপর এ ধরনের ঘটনার অবতারণা হয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে নবী প্রেমিকদের আন্দোলনে হামলা ও কয়েকজনকে শহীদ করা এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। অবিলম্বে পুলিশ বাহিনীর যে সব সদস্য এ ঘটনায় জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এবং এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
খেলাফতে ইসলামী : ভোলার বোরহানুদ্দিনে আল্লাহ ও রাসূল সা:কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সাধারণ মুসল্লিদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খেলাফতে ইসলামীর আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। এক বিবৃতিতে তিনি হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, আল্লাহ ও রাসূল সা:কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ করা প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। ভোলার নবী প্রেমিক সাধারণ জনতা শান্তিপূর্ণভাবে সেই দায়িত্বই পালন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা রাম-বামের দোসরদের তা সহ্য হয়নি। এই ঘটনা দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। আমরা এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মাওলানা মুহাম্মদ এনামুল হক আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে রাসূল সা:কে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী মুসল্লিদের ওপর পুলিশের গুলি ও নিহতের ঘটনা কোনো স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দুদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি দেশকে অস্থিতিশীতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:কে নিয়ে মাঝে মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু যুবকদের ধৃষ্টতাপূর্ণ পোস্টের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না থাকায় একের পর এক এসব ঘটনা ঘটছে। নেতৃদ্বয় ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও রাসূল সা:কে কটূক্তিকারী যুবককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ইসলামী ছাত্রশিবির : এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের বর্বরতা ও নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। নিরীহ মুসল্লিদের ওপর এমন বর্বরতায় দেশবাসী স্তম্ভিত ও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম অবমাননাকারী অপরাধীর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নিরপরাধ মুসলমানদেরকে হত্যা কোনো সভ্য ও দায়িত্বশীল বাহিনীর কাজ হতে পারে না। দলকানা দায়িত্বহীন পুলিশের এই নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ ধর্ম অবমাননাকে উৎসাহিত করেছে। একই সাথে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ইসলামবিদ্বেষী বিকৃত রূপটিও প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে ইসলাম অবমাননাকারী বিপ্লব চন্দ্র শুভকে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
খেলাফত আন্দোলন : ভোলায় পুলিশের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানা সংলগ্ন চৌরাস্তায় এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে নবীপ্রেমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বাধা এবং নির্বিচারে গুলি করে মুসল্লিদের শহীদ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে বিশ্ব মানবতার শান্তির দূত হজরত মুহম্মাদ সা:-এর অবমাননা বরদাশত করা হবে না। অভিযুক্ত কটূক্তিকারীর বিচার করা না হলে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি আফজাল হুসাইন, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মুফতি ইলিয়াছ মাদারীপুরী ও মুফতি আবুল হাসান প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম ভোলার বুরহানুদ্দিনে নবীপ্রেমিক জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে শত শত মুসল্লি আহত ও নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভোলার বুরহানুদ্দিনে আল্লাহ ও রাসূল সা.কে নিয়ে একটি পক্ষ বারবার উসকানি দিয়ে যাচ্ছে, এরা কারা? এদের পেছনে কে কল-কব্জা নাড়ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসন কার স্বার্থে নবীপ্রেমিক জনতার ওপর পাখির মতো গুলি করে শত শত নবীপ্রেমিক মুসল্লিকে আহত এবং নিহত করেছে? সরকার কোনোভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারবে না। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, আহতদের সুচিকিৎসা এবং শহীদ পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement