ফোরিডায় বাংলাদেশী আইয়ুবের ঘাতকের আত্মসমর্পণ
- এনআরবি নিউজ নিউ ইয়র্ক থেকে
- ২৩ জুলাই ২০১৮, ০০:৫৯
হত্যাকাণ্ডের ৭২ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার অপরাহ্নে ফোরিডার ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আইয়ুব আলীর সন্দেহভাজন ঘাতক টাইরন ফিল্ডস জুনিয়র আত্মসমর্পণ করেছে। একই সিটির সন্নিকটে ডিয়ারফিল্ডের বাসিন্দা এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ব্রাউয়ার্ড পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে বলে পুলিশ জানায়। শুক্রবার বাদ জুমা দক্ষিণ ফোরিডা এলাকায় একটি মসজিদে নামাজে জানাজার পর আইয়ুব আলীকে মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়। এরপরই ঘাতকের আত্মসমর্পণের সংবাদ দেয় পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। গত মঙ্গলবার দুপুরে নর্থ লডারডেল সিটিতে আন্ট মোলিজ ফুড স্টোরে কর্মরত অবস্থায় ডাকাতের গুলিতে নিহত হন ৬১ বছর বয়েসী চার সন্তানের জনক আইয়ুব আলী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রামের সন্তান আইয়ুব আলী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন ২২ বছর আগে। উল্লেখ্য যে আইয়ুবের বড় মেয়ে ইলামা ও ছেলে রাহাত পড়ছে মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলে নির্বিচার গুলিতে ১৭ ছাত্র-শিক্ষক নিহত এবং আরো ১৭ জন আহত হয়। সেদিন তারা ভাইবোন টেবিলের নিচে লুকিয়ে আত্মরক্ষা করেছিল। অথচ সেই বুলেটই কেড়ে নিলো তাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি তাদের বাবাকে।
আইয়ুব আলীর স্টোরের সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশের পর স্থানীয় পুলিশ তিন হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ঘাতকের সন্ধানদাতার জন্য। সর্বসাধারণের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ফুটেজ থেকে ছবি সংগ্রহ করে প্রচার করাও হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার ও প্রকাশ করা হয় ঘাতকের ছবি।
ফোর্ট লডারডেল পুলিশ জানায় যে, শুক্রবার দুপুরে টাইরন ফিল্ড আত্মসমর্পণ করে। গত ২১ জুলাই শনিবার সকালে তাকে ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করা হয়। তাকে জামিনহীন আটকাদেশ দিয়ে ব্রাউয়ার্ড কাউন্টি জেলে পাঠিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র ডাকাতি এবং হত্যার অভিযোগ পেশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা