০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে : তথ্যমন্ত্রী - সংগৃহীত

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দাবি করেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। লন্ডনে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেছেন।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে এ মাসের ১০ তারিখ থেকে লন্ডনে শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফরে রয়েছেন তিনি। অথচ রিপোর্টাস উইথ আউট বর্ডারস এর ২০১৯-এর প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৩৩-এ,আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০-এ।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান চার ধাপ নেমে ১৫০-এ নামার কারণ জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত এই যে ইনডেক্সগুলো তৈরি করা হয় সেগুলো কোন সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে করা হয় আমি তা জানি না।’

‘বাংলাদেশের পুরো গণমাধ্যম বর্তমানে যে স্বাধীনতা ভোগ করে, সেটি ইউকে-তেও অতো স্বাধীনতা সবক্ষেত্রে সব সময় ভোগ করে না,’ তিনি বলেন।

উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাজ্যে ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে উল্লেখ করে মি. মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ভুল, অসত্য কিংবা ফেব্রিকেটেড সংবাদ পরিবেশনের কারণে কোন পত্রিকা বন্ধ হয় না।’

এছাড়া তিনি বলেন, ‘ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য ইউকে-তে জরিমানা গুনতে হয় সংবাদ মাধ্যমগুলোকে। যেটা বাংলাদেশে করা হয় না।’

সাংবাদিকতায় ‘খবরদারি’
বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সেলফ সেন্সরের মুখে পড়ার অভিযোগ করেছেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কারণে। এছাড়া, রাজনীতিকদের কাছ থেকে হুমকি-ধমকি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এটাকে মিস্টার মাহমুদ কিভাবে দেখেন - এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটি দু-একজন হয়তো বলতে পারে। তবে তারা সেটা বহুদিন ধরে বলে আসছে।’

মিস্টার মাহমুদ বলেন, ‘সত্য হচ্ছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ। ইউকেতে আইনের প্রয়োগ আছে। আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগগুলো ঠিক সেভাবে হয় না।’

বাংলাদেশে গত ১০ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭শ, এখন এই সংখ্যা প্রায় ১৩শ। টেলিভিশনের সংখ্যা অন-এয়ারে আছে ৩৪টি। লাইসেন্স দেয়া আছে ৪০টির।

তবে গণমাধ্যমের সংখ্যা দিয়ে কী প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করছেন - এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলছি না যে সাংবাদিকদের উপর কেউ কেউ যে খবরদারির চেষ্টা করে না। সেটি যে হয় না বা একেবারেই কোনভাবেই কোন জায়গা থেকে হয় না বা হচ্ছে না - তা আমি বলবো না।’

‘আমাদের দেশে গণতন্ত্রের চর্চাটাই সবসময় নিরবিচ্ছিন ভাবে হয়নি। এদেশে গণতন্ত্রের চর্চাটাই হচ্ছে কয়েকশ বছর ধরে। এখানে স্বাধীনতা যেমনি আছে, তেমনি আইনেরও প্রয়োগ আছে।’

সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কী?
তবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দলের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় সমাজের রাজনীতিতে জবাবদিহিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কী জানতে চাইলে মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একটা শক্তিশালী বিরোধীদল চাই। তবে বিরোধীদলের শক্তি নানা কারণে ক্ষয় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম কিছু বণিক-গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে। ফলে তারা চাইলেও সেই বণিক গোষ্ঠীর সমালোচনা করতে পারে না অনেক ক্ষেত্রে।’

‘সেই বণিক গোষ্ঠী অনেক সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রাখে। কিন্তু এটার স্বাধীনতা রক্ষায় যারা এর পেছনে অর্থলগ্নি করেছে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ না করে কিভাবে কাজ করা যায় সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।’ সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য ‘আরো প্রচেষ্টা চালাতে’ জাতিসঙ্ঘ প্রধানের আহ্বান পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন সখীপুরে চেতনানাশক স্প্রে করে ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরি ফতুল্লায় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আইওএম মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা : সিইসি রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরাইলি বাহিনী নিষেধাজ্ঞা নেই তবুও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনিশ্চয়তা দৌলতদিয়ায় ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নদীর পাড় জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদে সমর্থন বেলজিয়ামের শিক্ষকের ২ হাত ভেঙ্গে দিল কিশোর গ্যাং

সকল