০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধের দাবি

-

নিজস্ব প্রতিবেদক

এসডোর সাথে সিএসও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধের এবং বিশ্বব্যাপী পুনরায় ব্যবহার অযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। গতকাল বিআরএস কপ জেনেভায় সিএসওর পক্ষ থেকে এসডোর নির্বাহী পরিচালক এবং এশিয়ান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড হেল্থ এর পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা  এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন।

২৯ এপ্রিল থেকে ১০মে জেনেভা, সুইজারল্যান্ড এ অনুষ্ঠিতব্য কপ সম্মেলেনে(বেসেল,রটারডাম এবং স্টকহোম) প্রথম সপ্তাহে প্লেনারি এবং কন্টাক্ট গ্রুপ বিভিন্ন বর্জ্য বিষয়, সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করে।

সিদ্দিকা সুলতানা প্লেনারি সেশনে বলেন, ‘প্লাস্টিক আমাদের সমুদ্রকে গ্রাস করে ফেলেছে।মৃত গরু, তিমির পাকস্থলী প্লাস্টিকে পরিপূর্ণ,সামুদ্রিক পাখিদের শ্বাসরোধ অবস্থা, প্লাস্টিকের জালে বন্দি কচ্ছপ-সর্বত্রই প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব।বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশে সঠিকভাবে প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার যোগ্য না করেই সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হচ্ছে’। 

তিনি আরও বলেন, ‘কেন এমন অবিবেচক এর মত ধনী দেশগুলো তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঠাচ্ছে!এখন আমাদের পরিবর্তন করার সুযোগ এসেছে।  সম্মিলিত দেশের জোট নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ নরওয়ে ক্ষতিকর বর্জ্য হিসেবে প্লাস্টিক কে তালিকাভুক্ত করার উপর জোর দিয়েছে, প্লাস্টিক সামগ্রী রপ্তানি করা যাবে না যদি না এসব প্রস্তুত করার সময় নিরাপত্তার বিষয় জোরদার করা হয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার প্রত্যাহার করার অধিকার দেওয়া হয়।উপকূলীয়ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশন বাবস্থা সঠিকভাবে না করা হলে সমুদ্র কে এই দূষণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব না। সুতরাং আমরা এই  সম্মেলনে অংশগ্রহনকারি দলগুলোকে দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি’।

বিশেষত এসডো প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সাল থেকে কাজ করে আসছে, প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করাই ছিল এসডোর প্রথম লক্ষ্য এবং প্রায় ১৩ বছর পর এসডো এই লক্ষ্যে সাফল্য অর্জন করে এবং ২০০২ সালে বাংলাদেশ প্রথম প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এখন অসংখ্য দেশ এবং মানুষ প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছে।       

ইএনবি এর তথ্য অনুযায়ী, এই সম্মিলনে প্রায় ৮০জন  প্রতিনিধি  তাদের এই বিষয়ে বিশেষ দিক তুলে ধরেন এবং মতামত বিনিময় করেন।সমগ্র প্লাস্টিক সামগ্রী কে পুনরায় ব্যবহার যোগ্য করা কি সমস্যা না সমাধান এই বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে।     

বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগ-বেসেল সম্মেলনে অধিকতর সমর্থন এর মাধ্যমে, প্রতিনিধিরা সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।নরওয়ে তাদের প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য প্রধাণত পরিষ্কার, বাছাইকৃত প্লাস্টিক বর্জ্য, ক্ষতিকর ও অক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। এছাড়া যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় তার মধ্যে রয়েছে যে আমদানিকারক দেশগুলোকে প্লাস্টিক বর্জ্যের ধরণ ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আগে থেকে অবহিত করতে হবে।

পরবর্তী বিকেলের সেশনে বেসেল সম্মেলনে, নিষ্কাশন এবং অংশিদারিত্ব নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এক্ষেত্রে মাল্টি স্টেকহোল্ডার পার্টনারশিপ এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে কম্পিউটার সহ অন্যান্য বাড়িঘর এর বর্জ্য, প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পর্কে কনভেনশন এর আলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান।

বেসেল সম্মেলনের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ড এর সরকার প্রতিনিধিদের জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এর আয়োজন করে।   

 


আরো সংবাদ



premium cement