২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে কারণে মাঝপথ থেকে পৃথিবীতে ফিরে এলো রাশিয়ার সয়ুজ রকেট

রাশিয়ার উৎক্ষেপন করা একটি সয়ুজ রকেট - সংগৃহীত

রাশিয়ার উৎক্ষেপন করা একটি সয়ুজ রকেটে ত্রুটি দেখা যাওয়ার পর এটির দুই নভোচারীকে বহনকারী ক্যাপসুলটি ফিরে এসেছে এবং নিরাপদে কাজাখাস্তানে অবতরণ করেছে।

রুশ নভোচারী আলেক্সেই ওভচিনিন এবং মার্কিন নভোচারী নিক হেগ এই রকেটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) যাচ্ছিলেন। তারা দুজনেই ভালো এবং নিরাপদ আছেন বলে বলা হচ্ছে।

তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি কাজাখাস্তানের যে অঞ্চলে অবতরণ করেছে সেখানে তাদের খোঁজে তল্লাশি দল পাঠানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য তাদের বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপন করা হয় বৃহস্পতিবার ভোরে। এটি ছয় ঘন্টা পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কিন্তু সয়ুজ রকেটের 'বুস্টারে' কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়ার পর এটিকে 'ব্যালিস্টিক ডিসেন্ট মডে' পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানাচ্ছে নাসা।

‘ব্যালিস্টিক ডিসেন্ট মড’ মানে হচ্ছে সাধারণত যে কোনাকুনি পথে কোন রকেট পৃথিবীতে ফিরে আসে, তার চেয়ে অনেক খাড়া বা সোজা পথে এটিকে পৃথিবীতে অবতরণ করানো।

রুশ নভোচারী আলেক্সেই ওভচিনিন এবং মার্কিন নভোচারী নিক হেগ আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকবেন বলে কথা ছিল।

রুশ নির্মিত সয়ুজ রকেটের ডিজাইন করা হয়েছে বহু দশক আগে। কিন্তু এটিকে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ রকেটগুলোর একটি বলে মনে করা হয়।

এই মূহুর্তে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাতায়তের জন্য এই সয়ুজ রকেটই একমাত্র ভরসা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ যান কর্মসূচী শাটল বন্ধ করে দেয়া হয় অনেক বছর আগে।

যে কারিগরি ত্রুটির কারণে এই রকেটটি তার যাত্রা শেষ করতে পারলো না, তাকে মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘স্টেজিং।’ উপরে উঠতে থাকা রকেটের যে অংশগুলোর জ্বালানি এর মধ্যে শেষ হয়ে গেছে, সেই খালি অংশগুলোকে খসিয়ে দেয়ার নাম স্টেজিং।

বলা হচ্ছে এই স্টেজিং এর সময় রকেটে থাকা দুই নভোচারী আঁচ করতে পেরেছিলেন যে কোন একটা গোলমাল হয়েছে কারণ তারা ওজনহীনতায় ভুগছিলেন। ঐ সময় তাদের ওজনহীন থাকার কথা নয়, পরিবর্তে তারা বরং তাদের বসে থাকা আসনের দিকে একটা প্রবল টান অনুভব করার কথা।

এ ধরণের পরিস্থিতিতেই নভোচারীদের 'এসকেপ সিস্টেম' ব্যবহার করতে বলা হয়।

দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফিরে আসার যাত্রা খুব স্বস্তিকর ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে। যেরকম খাড়া পথে তারা ফিরে আসেন, তাতে প্রচন্ড মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের।

রাশিয়ার রকেট কর্মসূচীর বর্তমান হাল নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তারা আগের বছরগুলোর মতো তাদের মহাকাশযানের মান বজায় রাখতে পারছে কীনা সে প্রশ্ন উঠছে।

এই ঘটনার পর এ নিয়ে উদ্বেগ যে আরও বাড়বে সন্দেহ নেই।

যুক্তরাষ্ট্র তার শাটল কর্মসূচী পরিত্যাগ করার পর এখন একটি নতুন রকেট সিস্টেম উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছে। আগামী বছর এই নতুন রকেট উৎক্ষেপন করার কথা।

আরো পড়ুন : সমুদ্র পর্যবেক্ষণে নতুন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে চীন
সিনহুয়া ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৬

সামুদ্রিক জলসীমা ও জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণে কক্ষপথে একটি সমুদ্র পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে চীন। খবর সিনহুয়া’র।

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় সানজি প্রদেশের তাইওয়ান স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে সকাল সোয়া ১১ টায় মার্ক-২সি রকেটের মাধ্যমে এইচওয়াই-১সি উপগ্রহটি উড্ডয়ন করা হয়।


প্রদেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের শিল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, এইচওয়াই-১সি উপগ্রহটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক পরিবেশের ওপর গবেষণার তথ্য সংগ্রহে সমুদ্রের রং এবং পানির তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে কাজ করবে।

এর তথ্য উপাত্ত চীনের সমুদ্র তীর হতে দূরের পানি, সম্পদ ও পরিবেশগত জরিপ, সমুদ্র তীরবর্তী দুর্যোগে ত্রাণ এবং সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারেও সাহায্য করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল