০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিছনাকান্দি ও রাতারগুলকে সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা প্রয়োজন

বিছনাকান্দি - সংগৃহীত

অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন করার কারণে বিছনাকান্দি ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনে রাতারগুল সঙ্কটাপন্ন । এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অবিলম্বে বিছনাকান্দি ও রাতারগুলকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা প্রয়োজন।

এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র একটি পর্যবেক্ষক দল। সম্প্রতি দলটি সিলেটের পিয়াইন নদীর নিকটবর্তী বিছনাকান্দি ও সারি-গোয়াইন নদীর মিলিত প্রবাহ চেঙ্গেরখাল নদী তীরের মিঠা পানির জলারবন রাতারগুল-এর বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করেন । বাপা’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল ।

পর্যবেক্ষক দল গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিছনাকান্দি ও ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতারগুল জলারবন পর্যবেক্ষন করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপার জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, বাপা সিলেট শাখার বদরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ । বাপা প্রতিনিধিদের পরিদর্শনকালে এলাকা দুটির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয় ।

এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন থেকেই অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন করার কারণে বিছনাকান্দি পর্যটন এলাকায় এমন কিছু মৃত্যুকূপ তৈরি হয়েছে যা পর্যটকদের জীবন বিপন্ন করতে পারে । বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করার ফলে পরিত্যাক্ত পাথর কোয়ারিতে সৃষ্টি হওয়া চোরাবালীতে অসাবধানতাবশতঃ পর্যটকরা আটকে যেতে পারেন । অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত পর্যটন বিছনাকান্দি এলাকাকে একটি মেলাস্থলে পরিণত করেছে ।

সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিছানাকান্দির সৌন্দর্য্য দর্শনে পর্যটকদের প্রলুব্ধ করা হলেও অদ্যাবধি গড়ে তোলা হয়নি পর্যটকবান্ধব সুব্যাবস্থা । হাজার হাজার পর্যটকের উপস্থিতি থাকা সত্বেও এখানে কোন ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নেই । বিরূপ আওহাওয়ায় নারী-শিশুদের জন্য নেই আশ্রয়স্থল, রয়েছে শৌচাগারের অভাব । আকস্মিকভাবে উজান থেকে ঢল নেমে আসার সতর্কিকরণ ব্যবস্থা না থাকায় ভবিষ্যতে ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা করেছেন বাপা'র পর্যবেক্ষকেরা ।

পর্যবেক্ষকদল বিছনাকান্দি এলাকায় সারাদিন অবস্থান করলেও পর্যটক পুলিশের কোন টহল দেখতে পাননি । পানিতে ভাসমান বেসরকারী উদ্যোগে স্থাপন করা একটি খাবার হোটেল রয়েছে, যার বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রতিনিধি দল, পিয়াইন নদী পথে যাত্রাকালে লক্ষ্য করেন যত্রতত্র গ্রামের ভেতর ক্রাশার মেশিনের ব্যাবহার । এছাড়া নদীর তট ও ঢালের গঠনগত পরিবর্তন করে বিভিন্নস্থানে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি, যা নদী আইনে অপরাধ । এছাড়াও রাতারগুল জলারবন পরিদর্শনকালে বাপার প্রতিনিধি দল অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত পর্যটনে সরব এই বিশেষায়িত ক্ষুদ্র বনকে একটি বিনোদন পার্ক হিসাবে প্রত্যক্ষ করেন ।

প্রতিবেদনে রাতারগুল, বিছনাকান্দি, জাফোলং, ভোলাগঞ্জ, লোভাছড়া সহ প্রত্যাকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত স্থান রক্ষায় স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে নাগরিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার মতামত ব্যাক্ত করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কুয়াকাটা জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১১, আটক ২ মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস চীন যেভাবে মেক্সিকোকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে মুলাদীর মেঠোপথে শোভা ছড়ানো সোনাইল আজ বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটে ট্রাক্টর-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২ ইউক্রেনে ইস্টার প্রার্থনার মাঝে ড্রোন হামলা, রণাঙ্গনে রাশিয়ার সাফল্য দাবি যে সব কারণে করের বোঝা বাড়তে পারে আগামী বাজেটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ‘জেনোফোবিক’ বক্তব্য নিয়ে ভারত-জাপানের আপত্তি আ’লীগ নেতাকে কটূক্তি, ছাত্রলীগ সভাপতিকে শোকজ

সকল