উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা বা ন্যাটো পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তার নৌ উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। ইদলিব প্রদেশে রাসায়নিক সম্ভাব্য হামলার সাজানো নাটককে কেন্দ্র করে সিরিয়ার ওপর আমেরিকা ও তার মিত্ররা হামলা চালাতে পারে বলে যখন দিন দিন শঙ্কা বাড়ছে তখন ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতি জোরদারের এই খবর বের হলো।
ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা নৌবাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী কয়েকটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে রাশিয়ার স্পুৎনিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাটো মেরিটাইম গ্রুপ-২ এর কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ সিরিয়ার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ন্যাটোর বহরে রয়েছে হল্যান্ড, কানাডা ও গ্রিসের কয়েকটি ফ্রিগেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে তৎপর মার্কিন নৌবহরের সঙ্গে যুক্ত হতে লস অ্যাঞ্জেলেস-ক্লাস সাবমেরিন রওয়ানা দিয়েছে। এ সাবমেরিনে দীর্ঘপাল্লার সাবসনিক টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
বেশ কিছুদিন থেকে আমেরিকা ও তার কয়েকটি মিত্র দেশ সিরিয়ার ইদলিবে সরকারি সেনাদের ওপর হামলার অজুহাত খুঁজছে। এর বিপরীতে সিরিয়া, রাশিয়া তার মিত্ররা বলছে, ইদলিবে রাসায়নিক হামলার নাটক সাজিয়ে আমেরিকা সিরিয়ার ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে তারা উগ্র সন্ত্রাসীদের শেষ ঘাঁটি রক্ষা করতে চায়।
স্টিলথ যুদ্ধজাহাজ বানাবে তুরস্ক ও পাকিস্তান
০৬ জুলাই ২০১৮
যৌথভাবে স্টিলথ যুদ্ধজাহাজ তৈরির বিষয়ে চুক্তি সই করেছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। ইসলামাবাদে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ মিলে চারটি স্টিলথ যুদ্ধজাহাজ তৈরি করবে যাতে থাকবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও।
চারটি 'মিলজেম ক্লাস' যুদ্ধজাহাজের মধ্যে দু'টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি হবে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। নির্মাণ শেষে দু'টি জাহাজই পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাকি দু'টি জাহাজ তৈরি হবে পাকিস্তানের করাচিতে।
চার'টি জাহাজেরই মালিক হবে পকিস্তান এবং পাকিস্তানেই সব জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। যৌথভাবে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও দুই দেশই লাভবান হবে বলে পাকিস্তানের নৌবাহিনী জানিয়েছে।
নতুন প্রযুক্তির এসব যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে পাকিস্তানের নৌ শক্তি জোরদার করবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা