২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইদলিবে সরকারি বাহিনীর হোয়াইট ফসফরাস বোমা হামলা

- ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার দেশটির ইদলিবে নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস বোমার হামলা চালিয়েছে। বেসরমারিক প্রতিরক্ষা সংস্থা হোয়াইট হেলমেট এ সংবাদ জানিয়েছে।

ইদলিবে হোয়াইট হেলমেট সংস্থার প্রধান মুস্তাফা হাজ ইউসুফ আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, সরকারি বাহিনী হামা প্রদেশের আবু দালি গ্রামে অবস্থান নিয়েছে এবং ইরান সমর্থিত বিদেশী বাহিনী ইদলিবের দক্ষিণাঞ্চলে হোয়াইট ফসফরাসের এ হামলা চালায়।

ইউসুফ বলেন, দুই দফায় ৪০টির মতো হোয়াইট ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করা হয়। আনাদোলুর হাতে থাকা ফুটেজে স্পষ্টভাবে হোয়াইট ফসফরাসের ব্যবহার বুঝা গেছে। তবে এ হামলায় হতাহতের পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

কোনো হামলার ক্ষেত্রে হোয়াইট ফসফরাসের ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। কারণ ফসফরাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রেন ও ফুসফুস খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।

যে এলাকায় এ হামলাটি চালানো হয়, হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই ওই জায়গাটি প্রায় খালি ছিল।

বাশার সরকার গত বছরের মার্চে পূর্ব ঘৌতাতে এ বোমার হামলা চালিয়েছিল। ইদলিবের এ এলাকায় এ বছরের শুরু থেকে সরকারি হামলায় এ পর্যন্ত ১২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৬২ জন আহত হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়া এক সমঝোতার প্রেক্ষিতে ইদলিবকে একটি অসামরিক এলাকা ঘোষণা করতে সম্মত হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রাশিয়ার সোচিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের পর তাদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।

২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। এতে দুই পক্ষের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মতো পরাশক্তির পাশাপাশি ইরান, লেবানন, তুরস্কসহ আরো কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি বিদ্রোহীদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সেখানে যুদ্ধ মোটামুটি শেষ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও দেশটি থেকে নিজেদের সৈন্য তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৮ বছর ব্যাপী এ গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয় এবং ১ কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানায় জাতিসঙ্ঘ।

আরো পড়ুন : সিরীয় উদ্বাস্তুরা দ্রুতই ফিরতে পারবে : এরদোগান
আলজাজিরা, ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৮

সিরিয়ার যেসব নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে দেশ ত্যাগ করছেন তাদের দ্রুত দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে তুরস্ক। আর এ লক্ষেই ‍উত্তর সিরিয়ায় নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। গত মাসে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ করার যে ঘোষণা দিয়েছিল তুরস্ক সেটি বাস্তবায়িত হলে অঞ্চলটির উদ্বাস্তুরা দ্রুতই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীতে এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করছে এমন এলাকায় ইতোমধ্যেই ৩ লাখ উদ্বাস্তু নিজেদের বাড়িতে ফিরেছে। আর নতুন প্রস্তাবিত নিরাপদ অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে আরো অন্তত ১০ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তু দেশে ফিরতে পারবে। উল্লেখ, গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার ৪০ লাখের বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক।

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন উত্তর সিরিয়া থেকে ২ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার। আর এরপরই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, তারা ৩২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তুলবেন তুর্কি-সিরীয় সীমান্ত অঞ্চলে।

গত শুক্রবার এরদোগান জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। একক নিয়ন্ত্রণে তুর্কি এই নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তুলবে। তিনি আরো বলেন, এই নিরাপত্তা অঞ্চলের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে তুরস্ককে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করা।

প্রসঙ্গত ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের অবস্থান, যাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে তুরস্ক।

 


আরো সংবাদ



premium cement