একজন নাগরিকের কিছু কথা

বিশেষত, শিক্ষিত মানুষ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যুবক ছিল যারা, তাদের থেকে জানা যায়Ñ যারা সুবিধা নিছক আদায়ে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করে, তারা একপ্রকার সুবিধাবাদী। অনেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে আজ ‘আওয়ামী লেবাস’ ধরেছে। তাদের জন্য ওটাই স্বাভাবিক। অনর্গল যেমন সত্য কথা বলা যায় না, অনর্গল মিথ্যাও বলা যায় না। তাই সত্য-মিথ্যা মাপার মাপকাঠি বা পাল্লা রয়েছে। তবে আমাদের মিথ্যার পাল্লাটাই বড় এবং ভারী। অবশ্য অনেক মিথ্যার পাশে দু-একটি হলেও সত্য রয়েছে, যার ওজন অনেক মিথ্যার চেয়েও বেশি। একটি সত্য হলো, আমাদের আগে নিজে বাঁচা এবং অন্যকে বাঁচতে দেয়া। আজ আমাদের বেশির ভাগের পক্ষেই তা অসম্ভব।
ছোট একটি শিশুকে বাঁচানোর জন্য একজন লেখক বললেন, ওনার শিশুটি সামান্য পচা-গলা কলা এনেছে, তাকে বেশি অন্যায় মনে না করে চড়া দামে যেন খরিদ করা হয়। শিশুশ্রম থেকে তাকে মুক্তি দেয়া উচিত মনে করেই এটা বলেছেন। চীনা প্রবাদে আছে, কাউকে একটি মাছ না দিয়ে তাকে মাছ ধরার কৌশল শিখিয়ে দেয়াটাই উত্তম। প্রতিদিন কেউ কাউকে মাছ কিংবা কোনো জিনিস দিতে প্রস্তুত থাকে না। তাই কৌশল শিখিয়ে দেয়াই মঙ্গলজনক।
যা হোক, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। নিরপেক্ষভাবে উন্নয়নমূলক কাজ ও শিশু কল্যাণ না করে মাত্র একজন বা দু’জনের কথা বলা মানে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ মাত্র। তাই এবার সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের অস্তিত্ব কামনা করছি।
মো: রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা