০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মানবতাবিরোধী অপরাধ

গাইবান্ধার ৯ আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

-

মানবতাবিরোধি অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার ৯ আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন, মো: মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা (৮২), মো: সেকেন্দার আলী (৬৬), মো: আব্দুল করিম (৬৩), মো: ইসমাইল হোসেন (৭০), মো: আকরাম প্রধান (৬৮) ও মো: হাফিজার রহমান (৬৪)। এছাড়াও পলাতক আছেন, মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে মো: সরফ উদ্দিন খান (৬৪), মো: সামছুল ইসলাম খান (৬৪) এবং মো: আব্দুল মান্নান (৬৪)।

আজ সোমবার রাজধানীয় ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনটি ভলিয়মে ১৮১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো: হান্নান খান।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণসহ মোট চারটি অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরুর পর আজ সোমবার এ মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়। তদন্তে মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

১৯৭১ সালেল ১০ মে থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কাটাবাড়ীর ইউনিয়নের ১০নং কাটাবাড়ী ও ৭নং কাটাবাড়ী গ্রাম এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়া গ্রামে অপরাধ সংগঠন করে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত চারটি অভিযোগ হলো-

১নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ১০ মে আসামীরা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং কাটাবাড়ী গ্রামের শহীদ জিয়া মন্ডল, শহীদ মনা মন্ডল ও শহীদ ওমেছ মন্ডলকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, জবাই করে হত্যা এবং লুন্ঠন চালায়। এরপর শহীদ জিয়া মন্ডলের ছেলে ভিকটিম আব্দুর রশীদ ও আব্দুল জোব্বার এবং কাঠালবাড়ী উত্তরপাড়ার মো: আজিজার রহমানকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন করে।

২নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই আসামিরা গাইবান্ধা জেলার বালুয়া গ্রামের মো: ইউনুস আলী আকন্দের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ মোট দুজনকে ধর্ষণ করেন।

৩নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ৩ আগষ্ট রাতে আসামীরা গোবিন্দগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের শহীদ আব্দুল কাদের সরকার, শহীদ আব্দুস সোবহান আকন্দ ও শহীদ এমাদ উদ্দিন আকন্দকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও শ্রীপতিপুর গ্রামের একজনকে ধর্ষণ করে।

৪নং অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১ নং কাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শাহজালাল মিয়া ওরফে ঝালু মিয়াকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও লুন্ঠন করে।


আরো সংবাদ



premium cement