২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাজা স্থগিত চেয়ে বিএনপির ৫ নেতার আবেদন খারিজ

-

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারিক আালতের দেয়া সাজার কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে পাঁচ বিএনপি নেতার হাইকোর্টে করা পৃথক পাঁচটি আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই খারিজ আদেশ দেন। তার ফলে তারা আর এবার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বিএনপির এ নেতারা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, চিকিৎসকদের নেতা ডা: এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-২ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো: মশিউর রহমান এবং ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি মো: আব্দুল ওহাব।

আবেদনকারী আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে শুনানী করেন আইনজীবী মো: আরিফুল ইসলাম।

ডা: জাহিদের পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আইনজীবী আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী।

আলহাজ্ব মো: মশিউর রহমানের পক্ষে শুনানী করেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ও মো: আবদুল ওহাবের পক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক ও আইনজীবী একেএম ফখরুল ইসলাম।

সবগুলো মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাথে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের পক্ষে শুনানী করেন আইনজীবী মো: খুরশিদ আলম খান ও এ. কে. এম. ফজলুল হক।

এবিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিলের পর জামিন নিয়ে জরিমানা স্থগিত হলেও কারাদণ্ড স্থগিত হয়নি। তাই সাজা সাসপেন্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন বিএনপি নেতারা।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত ও জামিন হলেই কেবল অংশ নিতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement