২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্ব মিডিয়ায় ২১ আগস্ট মামলার রায়

বিশ্ব মিডিয়ায় ২১ আগস্ট মামলার রায় - ছবি : সংগ্রহ

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বেশ গুরুত্বের সাথে কাভারেজ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। বিভিন্ন মিডিয়া এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্টে তুলে ধরেছে রায়ের বিষয়টি। বুধবারের ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের ফাঁসি ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

কাতারভিত্তিক আল জাজিরা তাদের অনলাইন সংস্করণে এই সংবাদের শিরোনাম করেছে, ‘২০০৪ সালের হামলার ঘটনায় ১৯ জনকে মৃতুদণ্ড দিল বাংলাদেশর আদালতে’। আলজাজিরা লিখেছে, ‘কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমনাকে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।.... তারেক বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং আগে মায়ের সাথে একই দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে তারেক লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন।’

আল জাজিরা আরো লিখেছে, ‘বাংলাদেশর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তারেকের মৃতুদণ্ড পাওয়ার আশায় সরকার উচ্চ আদালতে আপিল করবে। তিনি বলেন, তারেককে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতেও আমরা কূটননৈতিক পদক্ষেপ নেব।’

আল জাজিরা লিখেছে, ‘এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি’।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস তাদের অনলাইন সংস্করণে এ সংক্রান্ত খবরে লিখেছে, ‘মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে রয়েছেন একজন সাবেক মন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী- যারা উভয়ই ওই ঘটনার সময় ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতা ছিলেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তার অনুপস্থিতিতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওই গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছিলো ২৪ জন। দলটির প্রধান শেখ হাসিনা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজ লিখেছে, ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বিরোধী দলীয় নেতার উত্তরাধীকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের একটি ট্রাইবুনাল। ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় এই রায় দেয়া হয়েছে।

ভারতের এনডিটিভি অনলাইন এ সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম করেছে, ‘২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় সাবেক বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রের যাবজ্জীবন’। খবরের শুরুতেই লেখা হয়েছে, ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পলাতক পুত্র তারেক রহমানের যাবজ্জীবন ও অন্য ১৯ আসামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বুধবার একটি আদালত। ওই হামলা ২৪জন নিহত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরো ৫০০ জন আহত হয়েছিলেন’।

লকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, ‘হাসিনার উপর হামলা: মৃত্যুদণ্ড ১৯, খালেদা-পুত্রসহ যাবজ্জীবন ১৭ জনের’। আনন্দবাজার লিখেছে, ‘২০০৪ সালের ২১ অগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টায় গ্রেনেড হামলা হয়। ওই ঘটনায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী, মহিলা আওয়ামী লীগের তদানীন্তন সভানেত্রী আইভি রহমান-সহ ২২ জন মারা যান। গুরুতর জখম হন কয়েকশো। তবে ওই সময় বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা জখম হলেও, ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।’
এছাড়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসসহ বিশ্বের অনেক সংবাদ মাধ্যম খবরটি গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল