২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খেত থেকে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ রাত জেগে পাহারা

-

দাম অনেক বেশি হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ। চোরের ভয়ে রাত জেগে পেঁয়াজ খেত পাহারা দিচ্ছেন পেঁয়াজ চাষিরা।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশি দাম পাওয়ার আশায় দুই মাস আগে জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজের বীজ রোপণ করেছিলেন এই জেলার অনেক কৃষক। পেঁয়াজের আকার বড় হয়েছে। ২০-২৫ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ তোলার উপযোগী হয়ে উঠবে। বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার ভালো হওয়ায় এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ খেতে চোরের দল হানা দিতে শুরু করেছে। তাই চুরি হওয়ার ভয়ে রাত জেগে পেঁয়াজ খেত পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা।
কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। গত বছর পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এবার পেঁয়াজের বাজার ভালো। আবহাওয়াও অনুকূলে। তাই ফলনও ভালো হবে বলে আশা তাদের। শেষ পর্যন্ত যদি বাজার এমন থাকে তাহলে লাভের মুখ দেখবেন তারা।
সদর উপজেলার হায়াতমোড় এলাকার পেঁয়াজ চাষি আমিরুল হক জানান, আগাম পেঁয়াজ লাগালে দাম বেশি পাওয়া যায়। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এখন পেঁয়াজ অনেকটা বড় হয়ে গেছে। এবার পেঁয়াজের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এ দিকে বাজারে ভালো দাম থাকায় চোরের উপদ্রব দিনদিনই বেড়ে গেছে। এ নিয়ে কৃষকরা বেশ চিন্তিত।
হায়াতমোড় এলাকার আরেক চাষি রুবেল বলেন, আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। জমিতে পাহারা দেয়ার কোনো ফাঁকে গত বুধবার রাতে আমার ও আমার পাশের জমি থেকে চোর পেঁয়াজ চুরি করে নিয়ে গেছে।
চাষি মিনহাজুল আতিক জানান, গত বছর আমি চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়ে ছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছিল ৩০-৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু লাভ হয়নি। দাম কম ছিল। গত বছর দাম ছিল ১৩-১৪ টাকা কেজি। ওই ভয়ে এবার মাত্র ১০ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছি। ১০ কাঠা পেঁয়াজে আমার আবাদ খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার টাকা। কিন্তু এবার পেঁয়াজের যে দাম আছে সেটা যদি থাকে তাতেই ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement