বৃষ্টির পানিতে গ্রন্থমেলার স্টলের বই ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকাশকেরা বলছেন, মেলার স্টল নির্মাণে নির্মাতাদের ত্রুটির কারণেই প্রায় ৯০ শতাংশ স্টলে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বই নষ্ট হয়েছে। এতে তারা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। নির্মাণ ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করে বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, এতে ৯০ শতাংশ নয় কয়েকটি স্টল ক্ষতিগ্রস্ত ও সামান্য বই নষ্ট হয়েছে।
প্রকাশকেরা জানান, প্রতিটি স্টলের ওপরে টিন থাকার পরও নির্মাণ ত্রুটির কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ স্টলের দুই টিনের সংযোগস্থল দিয়ে চুয়ে পানি পড়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বই নষ্ট হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উৎস প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা সেলিম জানান, তাদের স্টলে প্রায় লাখ টাকার বই নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই তারা এমন ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্বেষা, ইউপিএল, নালন্দাসহ কয়েকটি প্রকাশনী। নালন্দার একজন বিক্রয়কর্মী জানান, তাদেরও লাখ টাকার ওপরে বইয়ের ক্ষতি হয়েছে।
মেলায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিল চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতিষ্ঠান ‘নিরাপদ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস’। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক লিটন এরশাদ বলেন, ‘আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা নিয়ম মেনেই প্রতি বছরের মতো এবারো স্টল নির্মাণ করেছি। কিন্তু স্টলের ডেকোরেশনে শ্রমিকেরা অনেক সময় টিনের ওপরে উঠে গিয়ে কাজ করেন। এ থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ দায় স্টল মালিকদের, আমাদের নয়।’
রোববার বইমেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও পানি জমে আছে। শিশু চত্বর কর্দমাক্ত। বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতারা বই শুকাতে ব্যস্ত। রশি টানিয়ে, পলিথিন বিছিয়ে বই শুকানো হচ্ছে। আবার অনেক স্টল মেরামত করছেন মিস্ত্রিরা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় গতকাল নতুন বই এসেছে ৭১টি। মেলায় এসেছে হাবীব কাইউমের অনুবাদ ‘রেহাম খান’, ও মোহাম্মদ হাসান শরীফের অনুবাদ ‘জেরুসালেম’। বই দুইটি প্রকাশ করেছে অন্যধারা। এ ছাড়া এসেছে সাংবাদিক খন্দকার দেলোয়ার জালালীর ‘রক্তাক্ত রাখাইন’। এটি প্রকাশ করেছে ভূমি প্রকাশ। আরো এসেছে শরীফ আস সাবেরের কবিতার বই ‘ঠিকানা নিরন্তর’।
মেলায় বিকেল ৪টায় একুশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক : শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খালেদ হোসাইন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মফিদুল হক, আসাদ মান্নান, শিহাব সরকার ও আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি মনজুরে মওলা।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বদরুল হায়দার, ফরিদুর রহমান, মারুফ রসুল, স্নিগ্ধা বাউল, অঞ্জন আচার্য। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি মোহাম্মদ সাদিক ও খালেদ হোসাইন। পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীত।
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলন : বেলা ৩টায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’ বিষয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী গ্রন্থমেলার বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এর সদস্যসচিব ও একাডেমির পরিচালকেরা।
আজকের অনুষ্ঠানসূচি : বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘কবি বেলাল চৌধুরী : শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পিয়াস মজিদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাহিদুল হক, দিলারা হাফিজ ও তারিক সুজাত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি রবিউল হুসাইন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা