০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সন্তানকে নিয়ে অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন এক শিশু মা

সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে নিয়ে হতদরিদ্র বাবার বাড়িতেই থাকছেন হালিমা খাতুন - ছবি : নয়া দিগন্ত

কোলে কন্যা সন্তান নিয়ে অসহায়ের মতো দিন কাটাচ্ছেন মাছুরা খাতুন নামের এক শিশু মা। বিয়ের ১৫ দিন পর স্বামী ও শাশুড়ির অত্যাচারে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আসতে বাধ্য হন তিনি। এলাকার মোড়ল মাতুব্বরদের কাছেও বিচার পাননি মাছুরা।

এলাকাবাসী জানান, আট মাস আগে মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে উজ্জ্বল হোসেনের সাথে প্রতিবেশী সলেমান সদ্দারের শিশু কন্যা মাছুরা খাতুনের (১৪) বিয়ে হয়। এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ মেম্বারসহ এলাকার মোড়ল মাতুব্বররা তাদের বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের ১৫ দিন পার না হতেই স্বামী উজ্জ্বল এবং শাশুড়ি সালেহা খাতুর গর্ভবতী মাছুরা খাতুনকে পিটিয়ে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এর পর থেকে তারা আর গর্ভবতী মাছুরা খাতুনের খোঁজ-খবর নেন না।

মাছুরা খাতুন জানান, এক বছর আগে আমার সাথে প্রতিবেশী উজ্জ্বল হোসেনের সম্পর্ক হয়। আমি পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ি। এ ঘটনায় গ্রামের এক শালিসে আমার স্বামী সম্পর্কের ঘটনা স্বীকার করেন। তখন আমাকে এলাকার মেম্বার ও মোড়ল মাতুব্বররা এক লাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহরের মাধ্যমে উজ্জ্বলের সাথে আমার বিয়ে দেন। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় আমাকে মারপিট করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আমি আমার গরিব বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। দুই মাস হলো আমার সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামীসহ কেউ আজ পর্যন্ত আসেনি। এমনকি কোনো খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি।

এ ব্যাপারে উজ্জ্বল হোসেনের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ছিলেন না তার বাবাও। উজ্জ্বলের মা সালেহা খাতুন সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

ইউপি সদস্য ও এলাকার মোড়ল আব্দুল আজিজ মেম্বার জানান, আমি শুনেছি উজ্জ্বল তার বাচ্চার জন্য জামা প্যান্ট কিনে পাঠিয়েছে। আর কী হয়েছে তা আমার জানা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement