২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্কুলড্রেস না পরায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

- নয়া দিগন্ত

স্কুল ড্রেস না পরে আসার কারণে মেহেদী হাসান সাগরকে (১৫) পিটিয়ে আহত করেছেন শার্শা সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মেহেদী হাসান সাগরের পিতা মহিনুর রহমান ইট ভাটার শ্রমিক। ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি করায় যশোরের শার্শা সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মহিনুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। শার্শা কাজের সুবাদে ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর মানবিক বিভাগে ভর্তি হয় মেহেদী হাসান সাগর।

স্কুলের শিক্ষকরা তাকে স্কুল ড্রেস বানানোর কথা বলে সাত দিনের সময় বেধে দেয়। অভাবের সংসার তারপরও অনেক কষ্টে ছেলেকে স্কুল ড্রেস হিসেবে শুধু একটি শার্ট বানিয়ে দেন। সাত দিনের দুই দিন যেতে না যেতেই সোমবার সকালে স্কুল ড্রেসের শুধুমাত্র শার্ট পরে স্কুলে যাওয়ার কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ক্লাস রুম থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ল্যাব রুমের মধ্য অমানবিক নির্যাতন করে মেহেদী হাসানকে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনেরা।

এর আগেও অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের পিতা মহিনুর রহমান কান্না কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, ড্রেস বানানোর মত অর্থ কাছে না থাকায় স্কুল ড্রেস বানাতে সাত দিনের সময় দেয় স্যাররা। এর মধ্যে আমি একটি শার্ট বানিয়ে দেই। দুই দিন যেতে না যেতেই সোমবার সকালে শার্ট পরে ছেলে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক ছেলেকে মেরে আহত করে।

খবর পেয়ে আমি স্কুলে গিয়ে আহত ছেলেকে নিয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের কাছে যাই। ইউএনও স্যার প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। পরে আমরা ছেলেকে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে মারধরের কথা স্বীকার করে জানান, যা করেছি তার মঙ্গল ও ভালোর জন্য করেছি। এ ছাড়া আর কোন কথা বলতে চাননি।

অনেক অভিভাবকরা জানান, এ ধরনের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের কারণে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুলবিমুখ হয়ে পড়ছে। এর আগেও তিনি এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেল পযন্ত খেটেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল