২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জীবননগরে বিএনপির থানা কার্যালয়সহ ২০টি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ!

জীবননগরে বিএনপির থানা কার্যালয়সহ ২০টি নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ - নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতা। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিংসতার ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিএনপির অফিসগুলোতে প্রকাশ্যে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এসব ঘটনায় উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অনোয়ার হোসেন খান খোকন বলেন, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আমাদের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর ভয়ভীতি ও হামলা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা।

এদিকে অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করছে বলে অভিযোগ করেছে ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মীরা।

তারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বিভিন্ন নির্বাচনী অফিসে হামলা ও প্রচার মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এসব ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নেয়ার আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবননগর পৌর এলাকায় তাদের একটি নির্বাচনী অফিসে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাতে বড় বড় দা, জিআই পাইপ নিয়ে জীবননগর পৌর এলাকায় মহড়া দেয়। আওয়ামী লীগের ওই সব নেতাকর্মী জীবননগর পৌর এলাকায় থাকা থানা বিএনপির কার্যালয় ও ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচনী অফিসসহ উপজেলায় বিএনপির ২০-২৫ টি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

তারা বলেন, এসময় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা থানা অফিসে থাকা দুইটি মোটরসাইকেল, একটি জেনারেটরসহ চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভস্মিভূত করে। এসব ঘটনার ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা তো নিচ্ছেই উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুজি করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

এদিকে জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ অমল বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে থাকা নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। অন্যদিকে একই সময়ে উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর নির্বাচনী অফিসেও বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ‘এ সব ঘটনায়’ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বিএনপি অফিসে হামলার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, বিএনপির নির্বাচনী অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগকারীরা মুখ বেঁধে হাতে বড় বড় দা, কাঠের বাটাম ও জিআই পাইপ নিয়ে আকস্মিক হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। রাত গভীর হওয়ায় এলাকাবাসী কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এবং এলাকাবাসী আতঙ্কিত হওয়ায় হামলাকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

আবার অনেকে দাবি করেছেন, যেসব নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব স্থানে থাকা বসতবাড়ি কিংবা দোকান অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।

অবশ্য, জীবননগর থানার ওসি শেখ গনি মিয়া বলেন, বিএনপির নির্বাচনী অফিসগুলোতে রাতের আধারে একযোগে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অনেক অফিসের প্লাস্টিক চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। নৌকা প্রতীকেরও কয়েকটি নির্বাচনী অফিসে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় চাক্ষুষ কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। তবে কারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত তা অনুসন্ধান চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি

সকল