২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনারি হৃদরোগের চিকিৎসা

-

হৃদরোগ বেশ কয়েকটি কারণে হওয়া একটি রোগ। এর অর্থ, এই রোগ বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে। কারণগুলোর মধ্য থেকে মাত্র একটি কারণের চিকিৎসা করলে সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। যদি একটা কারণকে শেষ করে ভালো ফলাফল পেতে হয়, তাহলে সেই কারণের পেছনে লুকিয়ে থাকা সমস্যাগুলোকে পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সিএডিপিআর প্রোগ্রাম এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে, আর লোকেরা এটাকে গ্রহণও করছেন। সিএডিপিআর হৃদরোগের চিকিৎসায় পাঁচটি প্রোগ্রাম প্রয়োগ করে। এই প্রোগ্রাম হচ্ছে ননইনভেসিভ, অর্থাৎ বিনা সার্জারির প্রোগ্রাম। সিএডিপিআরে এই পর্যায়ের প্রোগ্রাম পূর্ণরূপে এবং অত্যন্ত সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়। বাস্তবে এই প্রোগ্রামের রূপরেখা এতটা ব্যবহারিক যে, প্রতিটি ব্যক্তি এটাকে সহজেই পালন করতে পারেন। এই পাঁচটি পর্যায়ের মধ্যে প্রতিটা পর্যায়ের বিভিন্ন অবয়ব রয়েছে। আর হৃদরোগকে কমানোর ক্ষেত্রে এর বিভিন্ন অবয়ব আলাদা ভূমিকা পালন করে। এই প্রোগ্রামের সব দিকের সম্পূর্ণতাই একে এতটা প্রভাবশালী করে তুলছে।
আসুন একবার ভালো করে বোঝার চেষ্টা করা যাকÑ আমরা লোহার পাঁচটি আলাদা ছড়ি নিই। এগুলোর যেকোনো একটা ছড়িকে সহজেই মুড়ে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু আমরা যদি পাঁচটি ছড়িকে এক সাথে রাখি, তা হলে সেগুলো মোড়া অসম্ভব হয় না। কারণ সেগুলো এক সাথে থাকায় এক বিশাল শক্তির রূপ ধারণ করে।
এবার নিজেদের হাতকেই উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন। আপনার হাতে যদি একটা আঙুল থাকে, তাহলে আপনি সেটার সহায়তায় ১০টা কাজ করতে পারবেন। এবার যদি সেই আঙুলটার সাথে একটা বৃদ্ধাঙুলকে জুড়ে দেয়া যায়, তাহলে আপনি ওই দুটো আঙুলের সহায়তায় একটা কাজ করতে পারবেন। পাঁচটা আঙুল এক সাথে হওয়ামাত্র আপনি হাজার কাজ করতে পারবেন। হাত পূর্ণ হতেই হাতের কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়।
পাঁচটি পর্যায় আর সেগুলোর অবয়ব পালনের দ্বারা প্রোগ্রামের শক্তি অত্যন্ত বেড়ে যায়, আর এর দ্বারা শিগগিরই ভালো পরিণাম পাওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
এই পাঁচটি পর্যায় হচ্ছে শিক্ষা, মানসিক চাপ কমানো, ভোজনে পরিবর্তন, যোগ ধ্যান এবং ব্যায়াম।
শিক্ষা এবং ব্যাখ্যা অত্যন্ত সরল ভাষায় হওয়া, যেটাকে সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন মানুষও বুঝতে পারেন, হৃদরোগীদের পক্ষে হৃদরোগের বিস্তৃত জ্ঞান আর রোগ কমানোর সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে বোঝাতে সুবিধাজনক করে তোলে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডÑ এসব হৃদরোগের ওপর প্রভাব ফেলে। এটা রোগীদের ভালোভাবে জানা উচিত। ধমনীগুলোর অবরোধ, হৃদরোগের পরিচিতি ও পরীক্ষণ, মানসিক চাপের প্রভাব, এর প্রকারভেদ রোগীদের জানা উচিত। এসব জিনিসের শিক্ষা এই প্রোগ্রামে দেয়া থাকে। এই প্রোগ্রাম ভিন্ন ভিন্ন রোগীদের, যাদের হৃদরোগের অবস্থা আলাদা, তাদের সবাইকে মানসিক চাপ কমানো, ব্যবহারে পরিবর্তন নিয়ে আসা, ভোজনের পূর্ণ জ্ঞান, যোগাভ্যাস, ধ্যান ইত্যাদি বিস্তৃতভাবে শেখায়। একটা কথা সর্বদা মাথায় রাখবেনÑ নির্দেশগুলো পূর্ণরূপে পালন করতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক, ইমুনোলজি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।
চেম্বার : হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, ৫৭/১৫ পান্থপথ, ঢাকা। ফোন : ০১৭১১৫৯৪২২৮

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল