১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


কার্টুনের কালার পরিবর্তনে খিঁচুনি

কার্টুন
জনপ্রিয় কাটুন টম অ্যান্ড জেরির একটি দৃশ্য - সংগৃহীত

অনেকক্ষণ টিভি কার্টুন দেখলে এপিলেপসি রোগীর খিঁচুনি বেড়ে যায়। আমেরিকার নিউরোলজি সোসাইটি তাদের সাম্প্রতিক প্রকাশিত বাৎসরিক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

১৯৯৭ সালে জাপানে এ ধরনের আরেকটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল যে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ৬৮৫ জন শিশু একইসাথে এপিলেপসিজনিত খিঁচুনিতে আক্রান্ত হয়। তাদের সবাই তখন টিভির জনপ্রিয় কার্টুন ‘পকেট মনস্টার’ দেখছিল। গবেষকরা কালপ্রিট হিসেবে এটাকেই দায়ী করেছিলেন। টিভি কার্টুনের দ্রুত পরিবর্তনশীল আলোকচ্ছটা অথবা ভিডিও স্ক্রিন বা টিভির স্ক্রিনের ছবির আলো পরিবর্তনকে এপিলেপসিজনিত খিঁচুনির অনুঘটক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনের খিঁচুনিতে আক্রান্ত হলে তাকে ফটোসেনসিটিভ এপিলেপসি বলে। আলো এবং আঁধারের দ্রুত পরিবর্তন ব্রেনের স্নায়ুকোষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। ফটোসেনসিটিভ এপিলেপসির রোগীদের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ মস্তিস্কের মাংস পেশীর অতিমাত্রায় সংকোচন, এমনকি জ্ঞান হারানোর জন্য দায়ী। ফটোসেনসিটিভ এপিলেপসি একেবারে নতুন কোন ব্যাপার না হলেও এ ধরনের ব্যাপার জাপানীদের দৃষ্টি উন্মোচন করেছে।

কার্টুন দেখার সময় খিঁচুনি হয়েছে এ রকম চারজন বালকের ওপর এক সমীক্ষা চালানো হয়। অবশ্য এদের কেউই খিঁচুনিজনিত রোগে ভুগছিল না। যদিও কারো কারো এ রকম পারিবারিক ইতিহাস ছিল।

পৃথক পৃথকভাবে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ও কালার টিভিতে কার্টুন দেখার সময় ওই বালকদের মস্তিষ্কের ব্রেইন ওয়েভ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সাদা কালো কার্টুনে চারজনের দু'জন এবং কালার কার্টুনে চারজনের সবারই ব্রেনে অস্বাভাবিক ধরনের খিঁচুনির পরিবর্তন হচ্ছে। কালার কার্টুনের লাল ও নীল ব্যাকগ্রাউন্ডের দ্রুত পরিবর্তনশীল আলোকচ্ছ্বটাকে এজন্য দায়ী করা হচ্ছে।

 

আরো পড়ুন : বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বাংলাদেশে ব্রাজিলিয়ান টিভি

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশে ব্রাজিল সমর্থকের সংখ্যা কত থাকে তা হিসাব করতে গেলে হিমসিম খেতে হবে। এর কারণ ফুটবল উন্মাদনা। এবার সেটা বেড়ে যাবে আরো কয়েকগুণ। কারণ বাংলাদেশে ফুটবল সমর্থকদের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে ব্রাজিলের জনপ্রিয় গ্লোবো টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিক আসছেন বাংলাদেশে। 

নেইমারভক্ত বাংলাদেশিদের বলা হচ্ছে, বাংলাদেশি সাপোর্ট টু দ্যা ব্রাজিলিয়ান সকার টিম বা সেলেকাও ব্রাসিলেরিয়া। 

ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ফুটবল বিশ্বকাপের এই উৎসবকে আরো উন্মাদনায় ভরিয়ে দিতে এবার ব্রাজিল আর বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে এক সেতু বন্ধন তৈরী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে আগামী ২০ জুন দ্যা ওয়েস্টিন হোটেলের ব্রোঞ্জ রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে আসছেন বিশ্বকাপের উত্তাপ বাড়িয়ে দিতে। 

১৫ জুন এই সাংবাদিকরা আসবেন। ১০ দিন বাংলাদেশে ব্রাজিল সমর্থকদের কার্যক্রম আর প্রচারণা কাভার করে ২৫ জুন মস্কোর পথে রওনা দিবেন তারা। 

ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, জনপ্রিয় গ্লোবো টেলিভিশনের এই ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকরা রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাস আর কার্যক্রম প্রচার করবেন। নেইমারের গোলে যে ঢাকা বা কুমিল্লা শহরেও উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে সেটি এবার জানতে পারবেন রিও-ডি-জেনেরিওবাসীও। 

বিশ্বকাপ কাভার করতে যখন সকল দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরা রাশিয়ামুখী তখন ব্রাজিলের এই তিন সাংবাদিকের ঢাকায় আগমনে বেশ খুশি এখানকার ব্রাজিল সমর্থকরা। নেইমার আর ডি সিলভাদের প্রতি তাদের এই ভালবাসার কথা ব্রাজিলবাসীও জানতে পারবে। 

তিন সাংবাদিক আর ব্রাজিলের টেলিভিশন চ্যানেলটিকে ঘিরে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। ( ৯ জুন ২০১৮, প্রকাশিত সংবাদ)


আরো সংবাদ



premium cement
খাদ্য মূল্যস্ফীতির চক্রে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রিতে মজুরি ৬ শতাংশ ফ্রান্সে কারা কর্মকর্তাদের হত্যা করে প্রিজনভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই নিউ কালেডোনিয়ায় সহিংসতার পর কারফিউ, বন্ধ বিমানবন্দর থাইল্যান্ডের কারাগারে অনশনে থাকা তরুণীর মৃত্যু ভারতীয় পত্রিকার রিজার্ভ চুরির খবর মিথ্যা : বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গোক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার রাফা ক্রসিং বন্ধের জন্য মিসরকে দায়ী করল ইসরাইল দেশের মাটি ধরে রাখাই এখন অনেক কঠিন : কিয়েভ কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ডোনাল্ড লু'র সফর নিয়ে আ'লীগ ও বিএনপিতে এত কথাবার্তা কেন?

সকল