২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনার আশার প্রদীপ নিভে গেলো

-

নিভে গেলো খুলনা টাইটানসের আশার প্রদীপ। শুরু থেকে একের পর এক উইকেটের পতনের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চার-ছক্কার ঝড় তুলে দ্রুত দলের স্কোর বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন এই সাইলেন্ট কিলার। ২৫ বলেই ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাথে দলের সংগ্রহ গিয়ে দাড়িয়েছিল শতকে। কিন্তু ডেলপোটের বলে ৫১ রানে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। শেষ হলো খুলনার জয়ের স্বপ্ন।

খুলনার সংগ্রহ ১১ ওভারে ৫ উইকেটে ১০২ রান।

এর আগে দ্রুত তিন উইকটেরে পতনের পর ক্রিজে জুটি বাধেন ব্রেন্ডন টেইলর ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটির চার-ছক্কায় দ্রুত দলের সংগ্রহ বাড়তে থাকে। কিন্তু দলীয় ৮৬ রানে এ জুটির ভাঙন ধরান নাঈম হাসান।

এর আগে তিন ওভারেই সাজঘরে ফিরেন টপ অডারের তিন ব্যাটসম্যান।

চিটাগং ভাইকিংসের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিলেন খুলনার টাইটানসের ওপেনার পল স্টারলিং। আবু জায়েদের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরলেন তিনি। এরপর ফিরেন জুনায়েদ সিদ্দিক (১২) ও আল আমিন (৫)।

এর আগে বিপিএলের এবারের আসরের সবচেয়ে বড় স্কোর গড়ে চিটাগং ভাইকিংস। আগে ব্যাট করে খুলনার বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান তুলে মুশফিকুর রহীমের দল।

এই ম্যাচে শুরুতেই চিটাগংকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। ১৭ বলে ৩৩ রান করে তিনি যে ধারার সূচনা করেছে পরবর্তীতে তাই বজায় রেখেছে মিডল অর্ডার। তিন নম্বরে নামা চট্টগ্রামের সন্তান ইয়াসির আলী করেছেন ৩৬ বলে ৫৪ রান। তার ইনিংসে ছিলো ৫ চার ও ৩ ছক্কা।

আগের ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন- মুশফিক যেন আজ শুরু করেছেন সেখান থেকেই। শুরু থেকেই স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছিল তার ব্যাটে। ৪১ রানের সময় মালিঙ্গাকে পরপর তিনটি চার মেরে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌছান তিনি। ৩৩ বলে করেছেন ৫২।

এই তিন জনের গড়ে দিয়ে যাওয়া ভিতের ওপর রীতিমতো তলোয়াড় চালিয়েছেন লঙ্কান দাসুন শানাকা ও আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ ২ ওভারে ৩৭ রান তুলেছেন দুজন। আর এতেই দুইশ ছাড়া স্কোর। শানাকা ১৭ বলে ৪২ ও জাদরান ৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।


আরো সংবাদ



premium cement