রাশিয়ার ভবিষ্যত ফুটবলের প্রতিচ্ছবি এই ভেন্যুগুলো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ মে ২০১৮, ১৫:৩৭, আপডেট: ৩১ মে ২০১৮, ১৫:৪১
আগামী ১৪ জুন রাশিয়ায় শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের ২১তম আসর। ফুটবলের বিশ্ব আসর আট বছর পরে আবারো ইউরোপে ফিরে আসায় আয়োজকদের উদ্দীপনাটা একটু বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কয়েকটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে রাশিয়ার ফুটবলীয় অবকাঠামোর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামগুলোই এখন রাশিয়ার ভবিষ্যত ফুটবলের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবে।
নতুন নতুন স্থাপনা দেখা গেলেও রাশিয়ার বেশ কিছু বড় ক্লাবের হোম গ্রাউন্ডগুলো অবশ্য বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়নি। এর মধ্যে সিএসকেএ মস্কোর ভিইবি এরিনা (যা ২০১৬ সালে চালু হয়েছিল), ডায়নামো মস্কোর ভিটিবি এরিনা (চলতি বছর প্রতিষ্ঠিত) উপেক্ষিত থেকে গেছে।
তার পরিবর্তে নির্বাচিত ১২টি স্টেডিয়ামের মধ্যে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মস্কোর লুজিনকি স্টেডিয়াম, যেখানে এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভেুন্যতেই গ্রুপ পর্বের অন্তত চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
স্টেডিয়ামগুলোর পরিচিতি :
লুজিনিকি স্টেডিয়াম
শহর : মস্কো
ধারনক্ষমতা : ৮১,০০০
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
এবারের বিশ্বকাপের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখানেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের সবচেয়ে আকষর্ণীয় ম্যাচ, ফাইনাল । ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি ভক্তদের কাছে স্টেডিয়ামটি অনেকটাই পরিচিত।
২০১৩ সালের পর থেকে লুজিনিকি স্টেডিয়াম নতুনভাবে সংষ্কারের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে স্টেডিয়ামে যুক্ত হওয়া ছাদ ও আইকনিক আউটার গেটটি একইরকম রাখা হয়েছে। ভিতরে শুধু নতুনভাবে সংষ্কার করা হয়েছে। দর্শক ধারনক্ষমতাও কিছুটা বাড়িয়ে ৮১ হাজার করা হয়েছে। এ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক উঠিয়ে ফেলা হয়েছে যা পুরো পরিবেশকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
গ্রুপ ম্যাচ : রাশিয়া বনাম সৌদি আরব, জার্মানী বনাম মেক্সিকো, পর্তুগাল বনাম মরক্কো, ডেনমার্ক বনাম ফ্রান্স।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল
স্পার্তাক স্টেডিয়াম
শহর : মস্কো
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৩৬০
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
স্পার্তাক মস্কোর হোম গ্রাউন্ডটি ২০১৪ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে একে ওটক্রিটিয়ে এরিনা হিসেবেই সকলেই চেনে। যেহেতু আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল সে কারনেই নতুন করে কোন সংষ্কার কাজ করা হয়নি। ২০১৭ সালে কনফেডারেশন্স কাপের চারটি ভেন্যুর মধ্যে এটি অন্যতম একটি ভেন্যু ছিল।
রাশিয়ান ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সফল একটি ক্লাব হওয়া সত্তেও এই ভেন্যুটি চালু হবার আগে স্পার্তাকের কোন হোম ভেন্যু ছিলনা। পরিবর্তে মস্কোর বিভিন্ন মাঠে তারা খেলত। দীর্ঘ ১৫ বছর পওে ২০১৬-১৭ মৌসুমে স্পার্তাক প্রথম লিগ শিরোপা জয় করে। এর আগে ১৯৯২-২০০১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ৯টি শিরোপা জিতেছিল। এই ভেন্যুর একটি ঐতিহ্য হলো ক্লাবটি যাদের হাতে তৈরী সেই স্টারোস্তিন ভাতৃদ্বয়ের বিশালাকর মূর্তি এখানে রয়েছে। এক পাশের গোলপোস্টের পিছনে যা স্থাপন করা হয়েছে।
গ্রুপ ম্যাচ : আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড, পোল্যান্ড বনাম সেনেগাল, বেলজিয়াম বনাম তিউনিশিয়া, সার্বিয়া বনাম ব্রাজিল।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬
কাজান এ্যারেনা
শহর : কাজান
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৩৭৯
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
২০১৩ সালে রুবিন কাজান তাদের পুরোনো মাল্টিপারপাস সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম থেকে সড়ে এসে নতুন কাজান এ্যারেনায় ঠিকানা গড়ে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় আউটসাইড স্কিনটি এখানে প্রতিষ্ঠিত। স্টেডিয়ামের একপাশের আউটার দেয়াল জুড়ে এই স্ক্রিনটি স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের মূল পর্বের কিছুটা আগে ভাগেই এই স্টেডিয়ামটিও প্রস্তুত থাকায় এখানে কনফেডারেশন্স কাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ছিল একটি সেমিফাইনাল।
গ্রুপ ম্যাচ : ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া, ইরান বনাম স্পেন, পোল্যান্ড বনাম কলম্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম জার্মানী
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
সামারা এ্যারেনা
শহর: সামারা
ধারণক্ষমতা : ৪৫,৫৬৮
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
২০১৮ সালে নতুন ভাবে এই স্টেডিয়ামের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে সামারা এ্যারেনা কসমস এ্যারেনা নামে পরিচিত ছিল। কাইলিয়াম সোভেতভের নতুন হোম ভেন্যু হিসেবে এখন থেকে এটি স্বীকৃতি পাচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত কাইলিয়া মেটালার্গ স্টেডিয়নকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের স্পেস-এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামে সামারার ভূমিকার প্রতি স্মরণ করে স্পেস-এজ গ্লাস ডোমের আকৃতিতে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর আগস্টে আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্টেডিয়ামে নির্মাণের কাজে বিলম্ব হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সময়মতই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
গ্রুপ ম্যাচ : কোস্টা রিকা বনাম সার্বিয়া, ডেনমার্ক বনাম অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে বনাম রাশিয়া, সেনেগাল বনাম কলম্বিয়া।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল
মরডোভিয়া এ্যারেনা
শহর : সারানস্ক
ধারণক্ষমতা : ৪৪,৪৪২
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
মস্কোর থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মরডোভিয়ায় ৮ লাখ মানুষের বসবাস। কিন্তু তারপরেও এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি অংশ। নতুন এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের পরে এফসি মরডোভিয়া সারানস্কের হোম ভেন্যু হিসেবে পরিচিত হবে। ২০০৫ সালে দুটি স্থানীয় দল একসাথে হয়ে এই ক্লাবটি গঠন করেছিল।
বিশ্বকাপের জন্য এর ধারণ ক্ষমতা করা হয়েছে ৪৪ হাজার। কিন্তু টুর্নামেন্টের পরে এটি ২৮ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। তখন অবশ্য নিয়মিত ভাবে এটিকে ভাড়া দেবার ব্যবস্থা করা হবে। মূলত তৃতীয় বিভাগের ক্লাবগুলোর জন্য এই ধরনের স্টেডিয়াম প্রযোজ্য। গত ২১ এপ্রিল স্টেডিয়ামটি উন্মুক্ত করা হয়।
গ্রুপ ম্যাচ : পেরু বনাম ডেনমার্ক, কলম্বিয়া বনাম জাপান, ইরান বনাম পর্তুগাল, পানামা বনাম তিউনিশিয়া
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
রোস্তভ এ্যারেনা
শহর : রোস্তভ
ধারণক্ষমতা : ৪৫,০০০
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
‘ডন রিভার’ নদীর তীরে অবস্থিত রোস্তভ শহরের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রোস্তভ এ্যারেনা নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বকাপের পরে এটি এফসি রোস্তভের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
মস্কো থেকে হাজার কিলোমিটার দুরে অবস্থিত রোস্তভ এখনো লিগ শিরোপার দেখা পায়নি। কিন্তু সব বাঁধা পেরিয়ে ২০১৫-১৬ মৌসুমে শিরোপা বেশ কাছাকাছি চলে এসেছিল। সিএসকেএ মস্কোর থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছনে থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
চলতি মাসেই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামের চারপাশ জুড়ে সাত কিলোমিটার সাইকেল পথ, ওয়াকওয়ে ও সবুজ ঘাসের সমারোহ স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য অনেকগুনে বৃদ্ধি করেছে।
গ্রুপ ম্যাচ : ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ে বনাম সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম মেক্সিকো, আইসল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬
ফিশৎ স্টেডিয়াম
শহর : সোচি
ধারণক্ষমতা : ৪৭,৬৫৯
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম আকর্ষণীয় প্রকল্প হিসেবে এই ফিশৎ অলিম্পিক স্টেডিয়াম বিবেচিত হচ্ছে। ২০১৪ সালের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের জন্য মূলত এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা শুধুমাত্র ইনডোর এ্যারেনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
কনফেডারেশনের কাপের ভেন্যু হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফিফার নিয়ম নীতি সম্পন্ন করায় পরবর্তীতে ফুটবল স্টেডিয়াম হিসেবে পরিবর্তিত হয়। এই মাঠটি রাশিয়া সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোন ক্লাব দলের ভেন্যু হিসেবে তাই এটি ব্যবহার করা যাবে না।
গ্রুপ ম্যাচ : পর্তুগাল বনাম স্পেন, বেলজিয়াম বনাম পানামা, জার্মানী বনাম সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া বনাম পেরু।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
একাতেরিনবার্গ এ্যারেনা
শহর : ইয়েকাতেরিনবার্গ
ধারণক্ষমতা : ৩৫,৬৯৬
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
এবারের বিশ্বকাপের সম্ভবত সবচেয়ে বিচিত্র স্টেডিয়াম হিসেবে এটি পরিচিত পাবে। ইয়েকাতেরিনকবার্গের সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত এই স্টেডিয়ামটি এর আগে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হলেও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুনভাবে সংষ্কার করা হয়েছে। বিশ্বকাপের পরে স্টেডিয়ামটি এফসি উরাল ইয়েকাতেরিনবার্গের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই মুহূর্তে ৩৫ হাজার দর্শক একসাথে খেলা দেখতে পারলেও পরবর্তীতে তা কমিয়ে ২৫ হাজানে নামিয়ে আনা হবে।
গ্রুপ ম্যাচ : মিসর বনাম উরুগুয়ে, ফ্রান্স বনাম পেরু, জাপান বনাম সেনেগাল, মেক্সিকো বনাম সুইডেন
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
ভলগোগ্রাদ এ্যরেনা
শহর : ভলগোগ্রাদ
ধারণক্ষমতা ৪৫,৫৬৮
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে প্রস্ততকৃত এই স্টেডিয়ামটি অন্যতম বিশেষ ডিজাইনের জন্য সমধিক পরিচিত পাবে বলেই আয়োজকদের ধারণা। টুর্নামেন্টের পরে এফসি রোটোর ভলগোগ্রাদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ২০১৪ সালে রোটোর পুরোনো ও পরিত্যক্ত সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামের স্থানেই এটি নির্মাণ করা হয়েছে।
অপেক্ষাকৃত বড়, একেবারে নতুন এই স্টেডিয়ামের নয়নাভিরাম জাফরি ডিজাইন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এখানে নক আউট পর্বের কোন ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে না। মস্কোর থেকে হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় ভৌগলিক দূরত্বই হয়তবা ম্যাচের স্বত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
গ্রুপ ম্যাচ : তিউনিশিয়া বনাম ইংল্যান্ড, নাইজেরিয়া বনাম আইসল্যান্ড, সৌদি আরব বনাম মিসর, জাপান বনাম পোল্যান্ড
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না।
নিজনি নোভগোরদ স্টেডিয়াম
শহর : নিজনি নোভগোরদ
ধারণক্ষমতা : ৪৪,৮৯৯
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
নদীর তীরে অবস্থিত আরেকটি স্টেডিয়াম। নিজনি নোভগোরদ স্টেডিয়াম ভলগা ও ওকা নদীর তীরে অবস্থিত। আলেক্সান্দার নেভস্কি ক্যাথেড্রাল এর পাশে মনোরোম পরিবেশে অবস্থিতি এই স্টেডিয়ামটিও প্রাকৃতির সৌন্দর্যের কারণে ইতোমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে।
টুর্নামেন্টের পরে এফসি অলিম্পিয়েটস নিজনি নোভগোরোড স্টেডিয়ামের স্বত্ব পাবে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে রাশিয়ান দ্বিতীয় টায়ারে ক্লাবটি উন্নীত হয়েছে। এফসি ভলগা নিজনি নোভগোরদের সমাপ্তির পরে শহরের শীর্ষ ক্লাব হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই স্টেডিয়ামের ঘাস স্কটল্যান্ডে সফল পরীক্ষার পরে ২০১৭ সালের আগস্টে লাগানো হয়। এখানে নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক অনুশীল গ্রাউন্ড যেখানে ট্রেনিংয়ের সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিশ্বকাপের পরে যা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও স্থানীয় ক্লাবগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
গ্রুপ ম্যাচ : সুইডেন বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড বনাম পানামা, সুইজারল্যান্ড বনাম কোস্টা রিকা।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল।
কালিনিগ্রাদ স্টেডিয়াম
শহর : কালিনিনগ্রাড
ধারণক্ষমতা : ৩৫,২১২
স্ট্যাটাস : প্রায় প্রস্তুতি সম্পন্ন
২০১৮ সালে স্বাগতিক শহরগুলোর মধ্যে কালিনিনগ্রাদ অন্যতম সুন্দর একটি শহর। এটি রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত না হলেও পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার উপনিবেশে অবস্থিত। স্টোকহোম ও ওয়ারশ’র কিছুটা পূর্বে মূলত এর অবস্থান।
এফসি বালটিকা কালিনিনগ্রাদের নতুন হোম ভেন্যু হিসেবে বিশ্বকাপের পরে ব্যবহৃত হবে। ক্লাবটি দ্বিতীয় টায়ারে খেলে থাকে। ৩৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হলেও বিশ্বকাপের পরে ২৫ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। বালটিকা ও জার্মান দল শালকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মার্চে সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে ম্যাচটি পরবর্তীতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
গ্রুপ ম্যাচ : ক্রোয়েশিয়া বনাম নাইজেরিয়া, সার্বিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড, স্পেন বনাম মরক্কো, ইংল্যান্ড বনাম বেলজিয়াম
নক আউট ম্যাচ : কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না
সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম
শহর : সেইন্ট পিটার্সবার্গ
ধারণক্ষমতা : ৬৮,১৩৪
স্ট্যাটাস : পুরোপুরি প্রস্তুত
২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণের তুলনায় রাশিয়ান স্টেডিয়ামগুলো নির্মানকাজ অনেকটাই আগেভাগে সম্পন্ন হবার ধারণাটা সম্পূর্ণ ভাবে ঠিক নয়। তার মূল উদাহরণ জেনিতের নতুন স্টেডিয়াম সেইন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়ামটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর হলেও এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হতে দীর্ঘ নয় বছর সময় লেগেছে, যে কারণে বাজেটও বিপুল পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশেষে এপ্রিলে পুরোপুরি প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন করে আয়োজকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রুপ ম্যাচ : মরক্কো বনাম ইরান, রাশিয়া বনাম মিসর, ব্রাজিল বনাম কোস্টা রিকা, নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা।
নক আউট ম্যাচ : শেষ ১৬, সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা