ঘূর্ণিঝড় তিতলি চলে যাওয়ার ১০ দিনের মাথায় বঙ্গোপসাগরে আরো একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে গতকাল সকালে। উত্তর আন্দামান সাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটির সৃষ্টি হলেও এটি কিছুটা সরে এসে গতকাল সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণ মিয়ানমার ও আশপাশের বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। লঘুচাপটিকে কেন্দ্র একটি ঘূর্ণন বায়ু সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপর গড়ে ৫.৮ কিলোমিটার বেগে বাড়ছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর ভবিষ্যৎ এখনই বলতে চায় না আবহাওয়া অফিস। তবে অক্টোবরে প্রতি বছরই কমপক্ষে দু’টি নি¤œচাপের পূর্বাভাস থাকে। এখান থেকে অনেক সময় একটি ঝড়ে রূপ নেয়। এমনই একটি ঝড় ছিল তিতলি।
লঘুচাপের প্রভাবে সারা দেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল সারা দিনই আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বিকেল থেকেই হালকা কুয়াশার ঈষৎ নীল চাদরে ঢাকা ছিল।
আজ সারা দেশেই দিনে তাপমাত্রার তেমন হেরফের না হলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সার্বিক তাপমাত্রার দৃশ্যমান পরিবর্তন হতে পারে।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় শ্রীমঙ্গলে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় তিতলির পর বর্ষণের সময়ে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। পরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এরপর গতকালই সর্বনি¤œ তাপমাত্রা নেমে যায় ১৯ ডিগ্রিতে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩২.৬ ও ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘূর্ণিঝড় তিতলি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় এসে দুর্বল হয়। হারিকেনের গতিসম্পন্ন এ ঝড়টি ১১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উড়িষ্যার উপকূলীয় শহর গোপালপুরের ওপর দিয়ে স্থলভাগে উঠে গিয়েছিল। কিন্তু এটা উড়িষ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আসার পর এর প্রভাব শেষ হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা