২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভদ্রতা ভোলেননি সরিন

নয়া দিগন্তের সাংবাদিক রফিকুল হায়দার ফরহাদের সাথে সরিন - নয়া দিগন্ত

তার সাথে প্রথম দেখা ২০১৪ বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলে । সাংবাদিকদের জন্য সংরক্ষিত মিক্সড জোনে তাকে দেখা যেত ইএসপিএন এর মাইক্রোফোন হাতে। দুটি বিশ্বকাপ খেলা আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক ডিফেন্ডার কাম মিডফিল্ডার হুয়ান পাবলো সরিন তখন ইএসপিএন কর্মরত।

এখনও সে দায়িত্ব। মিক্সড জোনে টিভি সাংবাদিক এবং পত্রিকার সংবাদ কর্মীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা। টেলিভিশনের এলাকায় প্রিন্ট মিডিয়ার প্রবেশ নিষেধ। ফলে তার সাথে কখনই কথা বলার সুযোগ হয়নি। একদিন তাকে পাওয়া গেল মারাকানা স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে। কাছে যেতেই তার জিজ্ঞাসা ,কি ছবি তুলবে। সম্মতিসূচক জবাব দেয়ার পর কাছে ডেকে নিয়ে ছবি তোলার পোজ দিলেন। এরপর খুব দ্রুত চলে গেলেন ব্যবস্তার কারনে। চার বছর পর আবার সরিনের সাথে সাক্ষাৎ রাশিয়ার মস্কো লুজনিয়াকি স্টেডিয়ামে।

এখনও তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেই লম্বা চুল আছে। তবে সাথে যুক্ত হয়েছে মুখে লম্বা লম্বা দাঁড়ি। এবার তার শরীরে সুন্দর পোশাক সাথে টাই দেখা যায়নি। পায়ে সেন্ডেল । পরনে হাফ প্যান্ট। গায়ে হাতা গোটানো আকাশী রঙের শার্ট। একেবারে সাধারন পোশাকে। তবে আচার আচরেনও অতি সাধারন । সোজা কথায় অতি ভদ্র।

‘তোমার সাথে আমি ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে ছবি তুলেছি’ এ কথা বলার পর তার মধ্যে তেমন কোনো অনুভূতি চোখে পড়লো না। কিন্তু ছবি তোলার প্রস্তাব দেয়া মাত্রই রাজী হয়ে গেলেন। অবশ্য কাকে দিয়ে ছবি তুলবো। ব্যস্ত সকলে। সরিনই তখন একজনকে দেখিয়ে বললেন তাকে বল ছবি তুলে দিতে। সে ব্যক্তি অবশ্য ব্যস্ততার ভান করে কেটে পড়লো। এরপর আমি আর সরিন মিলে আরো কয়েক জনের দৃস্টি অকর্ষনের চেষ্টা করলাম। লাভ হলো না। পরে সরিনের সাথে থাকা এক আর্জেন্টাইন আমাদের দু’জনকে ক্যামেরা বন্দী করলেন।

দুইবারের বিশ্ব ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন, মেসি, অ্যাগুয়েরো, হিগুয়েনের মতো বহু নামী দামী তারকা ফুটবলার জন্ম দেয়া একটি দেশের ফুটবল দলপতি এতেটা ভদ্রতা না দেখালেও তো পারতেন। আসলে এটা ভদ্রতা। যা মানুষ শিখে আসে পরিবার থেকে । কিছু রপ্ত করে পারিপাশ্বিক অবস্থা দেখে। আর্জেন্টিনার সাংবাদিকদের মুখেও সরিনের ভদ্র আচরনে প্রশংসা। ২০০২ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপ খেলা সরিন অবশ্য এবারও কথা বলতে পারলেন না ব্যস্ততার জন্য। টিভি প্রোগ্রাম করতে স্টেডিয়ামে প্রবেশে তার প্রচন্ড তাড়া। ও প্রান্ত থেকে ফোন আসছিল। তাই দ্রুতই চলে গেলেন। তবে যাওয়ার আগে বললেন, আামি এবারের আর্জেন্টিনা দল নিয়ে আশাবাদী। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডে সাথে ড্র করার পরও দৃঢ় বিশ্বাস মেসিরা ফাইনালে খেলব।

১৯৯৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলা ৭৬ ম্যাচ খেলা সরিন গোল করেছেন ১২টি। খেলেছেন বার্সেলোনা, জুভেন্টার্স, প্যারিস সেন্ট জার্মেই, ভিলা রিয়াল, রিভার প্লেটের এর মতো ক্লাবে। ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে জার্মানীর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে তার গোলে ১-০তে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।


আরো সংবাদ



premium cement