২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কাশ্মিরে বিশিষ্ট নারীদের বিক্ষোভ

ঘটতে পারে গণবিস্ফোরণ

-

ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী জম্মু ও কাশ্মিরের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ মর্যাদা হরণ ও দ্বিখণ্ডিত করার পর প্রায় আড়াই মাস হতে চললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। তবু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, পরিস্থিতি ‘দ্রুত স্বাভাবিক’ হয়ে আসছে।
পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক দেখাতে কাশ্মিরে পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ অবারিত করে দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোন সেবা আংশিক চালু হয়েছে এবং দোকানপাট খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। বরং খবর বেরিয়েছে, কাশ্মিরিদের ‘আমরা ভালো আছি’ বলতে বাধ্য করছে ভারতীয় সেনা ও সরকার। কিন্তু তারা যে আসলে ভালো নেই সেই কথাটি সরকারের সব বাধার মুখেও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন কাশ্মিরের মানুষ। কারফিউর বিরতিতে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন সেখানকার বিশিষ্ট নারীরা। মঙ্গলবার রাজধানী শ্রীনগরের একটি পার্কে এই বিক্ষোভে জমায়েত হন তারা। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন তারা। বিশিষ্ট নারীদের এই শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিও সহ্য করেনি শাসকমহল। বিক্ষোভ শুরু হওয়ামাত্র নিরাপত্তাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে বলপ্রয়োগে কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। তারা গ্রেফতার করেছে নারীদের। গ্রেফতার হয়েছেন ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর বোন সুরাইয়া ও মেয়ে সাফিয়া। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি বশির আহমেদ খানের স্ত্রী। তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারের বেশ ক’জন নারী। তাদেরও অনেকে আটক হয়েছেন। জমায়েতে সুরাইয়া আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে আটকে রেখে ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। এটা চলতে পারে না।’ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা পোস্টার ছিল বিক্ষোভকারীদের হাতে।
যেখানে প্রতি ৩০০ ফুট দূরত্বে একটি করে সেনা চৌকি, যে রাজ্যে বাসিন্দাদের আট গুণ রয়েছে সশস্ত্র সেনাসদস্য, সেখানে বিক্ষোভ করা কতটা কঠিন এবং দুঃসাহসিক কাজ, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। সেই ঝুঁকি নিয়েছেন বিশিষ্ট কাশ্মিরি নারীরা। এভাবেই কাশ্মিরের মানুষ বেরিয়ে এসে অন্যায়ের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে বলে ধরে নেয়া যায়।
কাশ্মিরের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা এখনো গৃহবন্দী। ফারুক আবদুল্লাহ, তার ছেলে ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, সর্বশেষ মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ কয়েক শত শীর্ষ নেতাকে ‘জননিরাপত্তা’ আইনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। নিবর্তনমূলক ওই আইনে যে কাউকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি নিউজ চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, ‘অনেকের সাথে আবদুল্লাহ ও মুফতিদেরও জননিরাপত্তা আইনে ধরা হয়েছে।’ অবশ্য তিনি সংসদে এই স্বীকারোক্তি দেননি। তিনি বলেছেন, কাশ্মির পরিস্থিতির ‘দ্রুত উন্নতি’ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বন্দী নেতাদের কবে মুক্তি দেয়া হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি।
অমিত শাহ মোটেও সত্য বলেননি। আসলে কাশ্মির কার্যত জ্বলছে। কিন্তু গণমাধ্যমের কঠোর সেন্সরশিপের কারণে অনেক ঘটনার খবর জনগণের সামনে আসতে পারছে না। প্রকৃত সত্য এই যে, ভূ-স্বর্গ কাশ্মির একটি সুপ্ত ও জীবন্ত আগ্নেয়গিরির রূপ নিয়েছে এবং যেকোনো সুযোগে সেখানে মারাত্মক গণবিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের জন্য কাজ করতে আ’লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ ওলামা দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার

সকল