নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে
- ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তব্যে বলেছিলেন, এবারের বাজেটের কারণে পণ্যমূল্য বাড়বে না। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পরপরই লক্ষ করা গেছে, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাজারে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মাছ ও গোশত চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে। এটি তিন-চার দিন ধরে চলছে। তবে অনেকটাই স্থির রয়েছে মরিচ ও হলুদের দাম।
গণমাধ্যমে গতকাল প্রকাশিত খবর মতে, প্রতি কেজিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ছয় টাকা। রোজা ও ঈদের পর এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ল। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে দোকানদাররা জানিয়েছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজারে সবজি কিংবা অন্য তরকারি যাই থাকুক, খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি।
আমরা জানি না, অর্থমন্ত্রী বলার পরও কেন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ল? এই দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ বাজেটসংশ্লিষ্ট না হলে, এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা উদঘাটন করা দরকার। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, অনেক সময় নানা অজুহাতে বিভিন্ন সিন্ডিকেট বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কাটে। এবারের বাজেটের অজুহাতে তেমনটি ঘটেছে কি না, তা উদঘাটন করতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। নইলে এই দাম বেড়ে চলার দায়ভার নিতে হবে অর্থমন্ত্রীকে। এই দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টির সাথে বাজেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, এমনটি প্রমাণ করে তাকে তার বাজেট বক্তৃতায় দেয়া বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।
এখনই দাম বেড়ে চলা থামানোর ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে আরো কিছু সময় ধরে এ দাম বেড়ে চলা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন। তাদের অভিমত, একবার দাম বেড়ে গেলে তা কমার ঘটনা বাংলাদেশে বিরল। এর ফলে আগামী দিনগুলোতে ক্রেতাদের এই বাড়তি মূল্যের চাপ বয়েই চলতে হয়। এটি কখনোই কাম্য হতে পারে না।
আমরা মনে করি, অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের সত্যের প্রতিফলন ঘটিয়ে অচিরেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলার এই দুষ্ট প্রবণতা কমাতে হবে। আর তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব শতভাগ সরকারের। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলেই সাধারণ মানুষের সাথে আমাদেরও প্রত্যাশা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা