২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নির্বাচনী ইশতেহারে আইনশৃঙ্খলা

বাহিনীর রাজনৈতিক ব্যবহার নয়

-

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন দল ও জোট তাদের ইশতেহার প্রকাশ করতে যাচ্ছে। এটা জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল। কারণ, নির্বাচনী ইশতেহার জনগণের কাছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সংগঠনের অনস্বীকার্য অঙ্গীকার এবং তা সম্পূর্ণ পূরণ করাই তাদের একটি বড় দায়িত্ব। এবারকার নির্বাচনে বিভিন্ন দল ও মোর্চার ইশতেহারে অন্যান্য বিষয়ের সাথে নিঃসন্দেহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর ব্যাপারেও উল্লেখ থাকবে। এ ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত, অর্থাৎ নির্বাচিত হয়ে, ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক শক্তির করণীয় কী, সে সম্পর্কে মিডিয়ায় আলোচনা ও মতামত প্রকাশিত হচ্ছে।
একটি জাতীয় পত্রিকায় এই ইস্যুতে অভিমত দিয়েছেন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সরকারের সাবেক সচিব আবু আলম মো: শহীদ খানের মতে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোনো রাজনৈতিক অপব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের বাহিনীকে কাজ করতে দিতে হবে স্বাধীনভাবে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তার ইশতেহারে প্রাধান্য দিতে হবে কোনো প্রকার ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবহার না করার বিষয়টিকে। তার মতে, এসব বাহিনীর সদস্যরা যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা দরকার। এই বাহিনীগুলো কারো স্বার্থ উদ্ধার কিংবা তোষামোদের জন্য গঠিত হয়নি। তাদের দায়িত্ব দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা।’ সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, সংস্কার এবং আইনের যথার্থ প্রয়োগ প্রয়োজন। প্রয়োজনে তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে এবং নতুন আইন তৈরি করতে হবে। এসব বাহিনীকে প্রাতিষ্ঠানিক, সর্বাধুনিক ও প্রাগ্রসর রূপ দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. বোরহান উদ্দিন খান বলেছেন, সরকার নয়, জনগণের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। সরকারের তল্পিবাহী হলে চলবে না। বরং রাষ্ট্রের উন্নতি সাধনই তাদের দায়িত্ব। সরকার ও রাষ্ট্রের পার্থক্য মনে রেখেই দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করা উচিত। প্রফেসর বোরহান বলেন, অস্পষ্টতা রয়ে গেছে গুম করা কিংবা গায়েবি মামলা ঘটনায়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পরিচয়ে মানুষকে তার পরিজনের সামনে থেকেই উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেক সময় ভুয়া পরিচয়ে এসব ঘটানো হয়। তাই, আটক বা গ্রেফতার করা উচিত অবশ্যই ইউনিফর্ম পরে। কোনো দল কিংবা সরকার নয়, জনগণের স্বার্থেই কাজ করতে হবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে। তাদের প্রতি জন আস্থা তৈরি ও বজায় রাখার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর।
অপরাধ দমন এবং দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিধানের গুরু দায়িত্ব বর্তায় পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ওপর। এ জন্য নানা আইন আছে। এসব বাহিনীর সুরক্ষা ও সুযোগ-সুবিধা গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে; কিন্তু একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষমতাসীন মহলের অন্যায় স্বার্থে তাদের ব্যাপক অপব্যবহারও। দেশে রাজনৈতিক কারণে গুম, খুন, গ্রেফতার, হামলা, মামলা, নির্যাতন প্রভৃতি গত এক দশকে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীগুলোর যেকোনো ধরনের অপব্যবহার করে সরকারের রাজনৈতিক সঙ্কীর্ণ স্বার্থ হাসিলের অশুভ প্রবণতা অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা বিভিন্ন দল ও জোটের দায়িত্ব।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেফতার জুলাইয়ে ব্রাজিল সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী

সকল