২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সমঝোতা ছাড়াই তফসিল ঘোষণা

জাতি এর পরও চেয়ে আছে একটি সমাধানের দিকে

-

গত পরশু প্রধান নির্বাচন কমিশনার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। সে অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে বলে বলা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সব দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপ্ত করেন বিভিন্ন জোটের অধীন আটটি রাজনৈতিক দলের সাথে আনুষ্ঠানিক সংলাপ। কিন্তু সরকারবিরোধী অন্যতম জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যান্য আরো দল-জোটের দাবি না মেনে কোনো সমঝোতা ছাড়াই এই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলো। এমনকি জাতীয় পার্টিসহ যেখানে সরকারবিরোধী দল-জোট আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে, তা উপেক্ষা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণার সময় জানিয়েছেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে।
এভাবে তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজটা ভালো করেননি বলে মন্তব্য করেছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করা যাবে না। এরই মধ্যে তড়িঘড়ি করে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইসি নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এর মাধ্যমে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।
আমরা মনে করি, কোনোরূপ সমঝোতা ছাড়াই এভাবে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা সরকারপক্ষের বরাবরের একগুঁয়েমি মনোভাবের পরিচয় বহন করে। সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী আদলেই আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাচ্ছে কি না, এরই মধ্যে জনমনে সে আশঙ্কা আরো প্রবল আকার ধারণ করল।
সরকার যে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি জোরজবরদস্তির নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাচ্ছে, এমন আলামত ইতোমধ্যে স্স্পুষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপি দাবি করেছে, গত তিন দিনে তাদের দলের দুই হাজার ২০০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৫০ নেতাকর্মীসহ ৫০০ জনকে আটক করা হয়েছে পুরনো ও নতুন মামলায় আসামি হিসেবে। অথচ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সংলাপের সময়ও সরকারপক্ষ জানিয়েছিল এখন থেকে আর কোনো গ্রেফতার ও রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হবে না; কিন্তু সম্প্রতি পুলিশি তৎপরতা যেভাবে বাড়িয়ে তোলা হয়েছে, তাতে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও এর জোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করা অসম্ভব হবে দাঁড়িয়েছে। ফলে চরম প্রতিকূল পরিবেশে তাদের নির্বাচনী প্রতিযোগিতা করতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে এর বিন্দুমাত্র অবশেষ রইল না।
আমরা মনে করি, দেশে কার্যত বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের ও অন্যান্য জোটের সাথে সমঝোতা না করে জোরজবরদস্তি করে নামসর্বস্ব কিছু দল নিয়ে নির্বাচন করা হলে তা আবারো ৫ জানুয়ারির মতো একটি প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হবে। আর তা হবে জাতির জন্য দুঃখজনক। তাই আমরা মনে করি, সরকার ও সরকারবিরোধী পক্ষ তাদের সমঝোতা প্রয়াস আন্তরিকভাবে অব্যাহত রেখে একটা ন্যূনতম সমঝোতা সৃষ্টি করে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করার পথ উন্মোচিত করবে। এটাই দেশের সাধারণ মানুষের চাওয়া।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক

সকল