০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা

তফসিল পিছিয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখুন

-

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সঙ্ঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন উদ্বেগ ও শঙ্কা কাজ করছে। সঙ্কট সমাধানে প্রকাশ্যে সংলাপের মাধ্যমে কোনো সুখবর না মিললে পর্দার অন্তরালে নানাপর্যায়ে আলোচনার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনের তফসিল পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠক করেছেন। গণমাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠকের যে বিবরণ এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী হাঁটছে। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়।
নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। নির্বাচন কমিশনের চোখে সব রাজনৈতিক দল সমান। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিদ্যমান থাকে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যায়, তাতে নির্বাচন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন খুব কম সময়ই স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অতীতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন যতটা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন তা পারেনি।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনও এর ব্যতিক্রম নয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে যতগুলো স্থানীয়পর্যায়ের নির্বাচন হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোতে অরাজকতা এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার নানা কৌশল নেয়া হয়েছে। বিরোধী প্রার্থীরা যাতে বিজয়ী হতে না পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নানা কৌশলের সহায়ক ছিল নির্বাচন কমিশন। গণগ্রেফতারের নামে ত্রাস সৃষ্টি ও এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে থাকার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এমন আস্থাহীন নির্বাচন কমিশনের সামনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের উচিত, রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। অতীতেও এ দেশে নির্বাচনের তফসিল পেছানো হয়েছে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে আলোচনার পথ খোলা রাখা উচিত। এ জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল পেছানো প্রয়োজন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল