২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফণীর প্রভাবে ফুঁসে উঠছে বিভিন্ন নদী

ফণীর প্রভাবে হঠাৎ করেই পানি বেড়েছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদীর - নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফুঁসে উঠছে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীসহ জেলার ১১টি উপজেলার সকল নদীর পানি। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো ফসল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি হয়নি। আর এর মধ্যেই খালে ও ডোবায় পানি প্রবেশ করার ফলে ছোট ডিঙ্গি নৌকাতেই ফসল পারাপার করছে কৃষকরা। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সতর্কতা থাকায় কৃষি জমির ফসল কর্তন করে তা ঘরে তুলতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক কৃষক।

গত ২দিনে জেলা শহরের বুকের উপর দিয়ে বয়ে চলা সুরমা নদীর পানি আনুমানিক ৫-৭ফুট বেড়েছে। এছাড়াও বেড়েছে জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভলপুর, ছাতক, দোয়রা বাজার, জগন্নাথপুরসহ ১১টি উপজেলার বিভিন্ন নদীর পানি।

সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ সীমান্তের ওপারে চেরাপুঞ্জিতে ২০০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ২০০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে ভারতীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ৩০ এপ্রিল চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১দশমিক ৫৭মিলিমিটার এবং গত বুধবার (১মে) দুপুর পর্যন্ত ৩ দশমিক ১২মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, হাওরের ৮০ভাগ জমির পাকা ধান কেটে ফেলেছেন কৃষকরা।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আরও ৬মিটার পানি বাড়লে ফসল রক্ষা বাঁধ উপচে হাওরে আগাম বন্যার পানি প্রবেশ করবে।

এদিকে চলতি মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় যাদের জমিতে পাকা ধান রয়েছে, সেগুলো কেটে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক।


আরো সংবাদ



premium cement