২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলকাতার উদ্দেশ্যে ‘মধুমতি’ ছেড়ে যাবে ২৯ মার্চ

কলকাতার উদ্দেশে ‘মধুমতি’ ছেড়ে যাবে ২৯ মার্চ - সংগৃহীত

আগামী ২৯ মার্চ ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা নৌ-রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে যাত্রিবাহী জাহাজ সার্ভিস। সেদিন সন্ধ্যা সাতটায় নারায়ণগঞ্জের পাগলাস্থ মেরিএন্ডারসন ভিআইপি জেটি থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জাহাজ এমভি মধুমতি ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সেবা চালু করা হচ্ছে। জাহাজটি ২৯ মার্চ রওনা দিয়ে বরিশাল-মোংলা-সুন্দরবন-খুলনার আন্টিহারা-ভারতের হলদিয়া রুট হয়ে ৩১ মার্চ আনুমানিক দুপুর ১২ টায় কলকাতায় পৌঁছবে। বাংলাদেশ-ভারত নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিসি নিজস্ব অত্যাধুনিক নৌযান পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-কলকতা-ঢাকা যাত্রীবাহী সার্ভিস চালু করছে।

শনিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এম ভি মধুমতি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা গমণাগমণের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে জানানো হয় যে, এমভি মধুমতি জাহাজে ঢাকা-কলকাতা ভ্রমণের জন্য (একক যাত্রায়) যাত্রী সাধারণের জন্য রয়েছে দু’জনের ফ্যামিলি স্যুট ভাড়া ১৫ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি কেবিন (এক সিট) প্রতিটি পাঁচ হাজার টাকা, প্রথম শ্রেণি সেমি ডাবল কেবিন সাত হাজার টাকা, ডিলাক্স শ্রেণি কেবিন (দু’সিট) প্রতিটি ১০ হাজার টাকা, ইকোনমি চেয়ার প্রতিটি দু’হাজার টাকা এবং সুলভ ও ডেক শ্রেণির যাত্রী প্রতি ভাড়া এক হাজার পাঁচশত টাকা। জাহাজে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, বিকেলের নাশতা ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবে এসব খাবার যাত্রীদের কিনে খেতে হবে। ভারত গমণের ভিসাসহ ভারতে হোটেল বুকিং এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাদি ভ্রমণকারিকে নিজ দায়িত্বে ও খরচে সম্পন্ন করতে হবে। ভিসায় কোন পথে যাত্রীরা যাবেন এবং কলকতা হয়ে ফেরত আসবে সে বিষয় উল্লেখ ঘোষণা থাকতে হবে।

বৈঠকে আরো জানানো হয় যে, মধুমতি জাহাজে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ভ্রমণের জন্য যাত্রীসাধারণ বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (বাণিজ্যিক) এন এস এম শাহাদাত আলী (ফোন-৯৬৩৪৯২০, মোবাইল ০১৭১১৩৯২৫৭০); মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও যাত্রি/প্রশাসন), শেখ মু. নাসিম (ফোন ৯৬৩৪২৭২, মোবাইল ০১৭১৫০১৬৭৫১); উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য/যাত্রী) শাহ মোঃ খালেদ নেওয়াজ (ফোন নম্বর ৯৬৬৯৪৭৮, মোবাইল নম্বর ০১৭১৫-৬৩৫৩৪১) এবং সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সৈয়দ জাফর হোসেন (ফোন নম্বর ৯৬৬৭৯৭৩, মোবাইল নম্বর ০১৭৫৩-৯৯০৮২৬) এর সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কোস্টাল এবং প্রটোকল রুটে প্যাসেঞ্জার ও ক্রুজ সার্ভিস চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষর হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার পারভেজ আহমেদ চৌধুরী, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পরিচালক তৌফিক রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন


আরো সংবাদ



premium cement