২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তিনি এলেন

-


তিনি এলেন। তাঁর প্রিয় অক্সফোর্ড সুস্পর্শ করল ঢাকার মাটি এবং সাথে সাথে এক অচিন্ত্যনীয় শিহরন বয়ে গেল তাঁর শরীরে। তাঁর চোখ ভিজে উঠল। উত্তরা বাতাস কাঁপিয়ে দিলো তাঁর পাঞ্জাবি এবং হঠাৎ করেই বাঁক খেয়ে ঢুুকে পড়ল তাঁর উড়ুক্কু চুলে।

তিনি তাকালেন। প্রথমে আকাশের দিকে, মহান প্রভুর কাছে জানালেন অসীম কৃতজ্ঞতা তারপর তাকালেন দূরে প্রান্তরের দিকে এবং সেইসব মানুষগুলো, গগনবিদারী স্লোগানে যারা তাকে বরণ করতে এসেছে কুর্মিটোলায়; বিমানবন্দরে।

তিনি দাঁড়িয়ে পড়লেন। তাঁর চোখ আবারো বৃষ্টি হলো। তিনি কাঁদলেন। ঢেউ তোলা সেই কান্না স্তিমিত হলে তিনি পাঞ্জাবির খোটে মুছলেন চশমাখানা, তারপর পকেট হাতড়িয়ে বের করলেন পাইপ। এরিনমোরের ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে তিনি এগিয়ে গেলেন সেই মানবসমুদ্রের দিকে।
তিনি হাঁটতে থাকলেন। দূরে কয়েকটি শালিক এবং চড়ুই, খাওয়া ভুলে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল তাঁর হেঁটে যাওয়া। এ তো যাওয়া নয়, ফিরে আসা। মৃত্তিকা ও আত্মজের কাছে প্রত্যাবর্তন পিতার।

অবশেষে তিনি ফিরে এলেন তাঁর জন্য জেগে থাকা বাংলায়। উৎকণ্ঠিত চোখে চোখে বিজলি-ঝিলিক। অনল বর্ষার পর মাটির গ্রীবায় যেমন জেগে থাকে পলি, নতুন সৃষ্টির সম্ভাবনায়।


আরো সংবাদ



premium cement