১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


শ্রুতি ও স্মৃতির সোনালি শিখা

যেমন দেখেছি তাকে

-

তেতাল্লিশ.

ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এর ঘটনা। তারিখটি ৯ ফেব্রুয়ারি। তখন বইমেলা জমজমাট। মেলায় ছিলাম অনেকে মিলেই। মেলা শেষ হলো। বের হলাম মেলা থেকে। বেরিয়ে বেশ খানিকক্ষণ আড্ডায় মেতে এগোচ্ছিলাম শাহবাগের দিকে। টিএসসি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে। এ সময় বেজে উঠল মোবাইল। স্ক্রিনে ভেসে উঠল নামটি- শরীফ আল মাহমুদ। আল মাহমুদের বড় ছেলে। রিসিভ করতেই ধরা গলা শুনলাম। বললেনÑ আব্বা খুব অসুস্থ। কথা তো বলছেনই না, চোখও খুলছেন না। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ। এক রকম সেন্স হারানোর মতো। জবাব দিচ্ছেন না ডাকলেও।
শুনে ধক্ করে উঠল ভেতরটা। এই বুঝি শেষ। বুঝি চলে যাওয়ার শেষ পর্বে! হয়তো দেখা হলো না আর। বলা গেল না শেষ কথাটি।
বললাম আমরা আসছি। অ্যাম্বুলেন্স দেখুন। হাসপাতাল নিতে হবে। একসাথে বেশ ক’জন ছিলাম আমরা। ছিলেন কবি জামসেদ ওয়াজেদ, ছড়াকার ও মিডিয়াকর্মী আবিদ আজম, তরুণ কবি আহমেদ সাইফসহ অনেকেই।
জামসেদ ওয়াজেদকে সাথে নিয়ে একটি রিকশায় চড়লাম। আবিদ আজম আহমেদ সাইফ অন্যটিতে।
রাত তখন ১০টা পেরিয়ে। বাসায় পৌঁছে দেখি আল মাহমুদের খাটের পাশে তাঁর মেয়েরা, ছেলের বউ এবং নাতি-নাতনী। মুখে আশঙ্কার ছাপ নিয়ে আবৃত্তি শিল্পী দোলনও। সবার চোখে বেদনার ছাপ। সবাই উৎকণ্ঠার দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। রিসতায় যার যেটি সে নামে ডাকছে তাঁকে। কিন্তু কোনো সাড়া নেই। নড়াচড়া নেই। চোখ বন্ধ। চিত হয়ে শোয়া। শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের সাড়ায় বুক-পেট কিছুটা ওঠানামা করছে। আল মাহমুদের কাছে পৌঁছানোর পথ করে দিলো অন্যরা। বড় ছেলে এবং ছেলের বউ ডেকে বললেনÑ আব্বা, জাকির আবু জাফর আঙ্কেল আসছেন। বারবার বলছেন। না, সাড়া নেই। পাঁজরের পাশে বসলাম। কপালে হাত রাখলাম। ডাকলাম। মাহমুদ ভাই একবার, দু’বার, তিনবার, অনেকবার। একসময় উঁ শব্দটি উচ্চারণ করলেন। কিন্তু চোখ আগের মতোই বন্ধ। আল মাহমুদের ছোট ছেলে আনিস। ডাক্তার খোঁজ করতে বের হচ্ছিল দ্রুত। ওর চোখে-মুখে বেদনার ছাপ প্রকাশ্য।
আমার মনে হলো, বাসায় এসে যে ডাক্তার দেখবে তার পক্ষে এ পরিস্থিতি সামাল দেয়া কিংবা চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না। আনিস এবং বড় ছেলে শরীফ আল মাহমুদকে বললাম কথাটি। বললামÑ যে ডাক্তার এখানে এসে দেখবেন, এমন ডাক্তারের মামলা এটি নয়। সুতরাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই হবে যথার্থ। আমার কথায় জোর সমর্থন দিলেন জামসেদ ওয়াজেদ এবং আবিদ আজম। দু’জনই গুরুত্বের সাথে সমর্থন করায় দুই ভাই আমাদের মতে একমত হলো। আনিসকে বললাম, অ্যাম্বুলেন্স ডাকো। আর দেরি নয়। এক্ষুনি।
খুব দ্রুত যোগাযোগ করল আনিস। রাত তখন ১১টা প্রায়। মোটামুটি জ্যামমুক্ত রাস্তা। অ্যাম্বুলেন্স কল করা হলো। অল্প সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে গেল অ্যাম্বুলেন্স।
অ্যাম্বুলেন্স-কর্মীরা কম সময়ে ব্যবস্থা নিলো সব। স্ট্রেচারে তুলে নামিয়ে আনল নিচে। তিনতলা থেকে নিচে আসতে খুব বেগ পেতে হয়নি। বাসাটি আল মাহমুদের বড় ছেলে শরীফ আল মাহমুদের। লিফট থাকলেও স্ট্রেচারে করে নামানোর মতো বড় লিফট নয়। একটি ফ্ল্যাট বাড়ির লিফট যেমন হয় তেমনি।
নিচে নামিয়েই অ্যাম্বুলেন্সে ঢোকানো হলো স্ট্রেচারসমেত আল মাহমুদকে। ১১টা পেরিয়ে গেছে তখন। অ্যাম্বুলেন্সে আল মাহমুদের সাথে উঠলেন তার বড় ছেলে শরীফ, মেঝো ছেলে আরিফ এবং ছোট ছেলে আনিস। অ্যাম্বুলেন্স-কর্মীরাও তাড়া দিচ্ছিলেন দ্রুত করার বিষয়ে। রোগী আনা-নেয়া এবং অসংখ্য রোগীর মুখ দেখে দেখে এদের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী। একজন বলল, দেরি হলে খুব সমস্যা হয়ে যেতে পারে। তিন ছেলে উঠে বসলেই ছেড়ে দিলো অ্যাম্বুলেন্স। রাস্তায় নেমেই অ্যাম্বুলেন্সের গতি উঠে গেল বেশ। বড় রাস্তায় উঠেই অনেকটা তীব্র গতিতে ছুটল। লক্ষ্য ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতাল।
অ্যাম্বুলেন্স চলে গেল। কাপড়-চোপড়সহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে স্কুটারে ছুটলেন বড় ছেলের বউ শামীমা আক্তার এবং বড় মেয়ে আতিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতের রাস্তায় অচেতন আল মাহমুদ। তাঁকে নিয়ে ছুটে চললো একটি যান্ত্রিক বাহন। যে কেবল দুঃখী মানুষের দুঃসময়ের গতি।
হাসপাতালে পৌঁছালেই দ্রুত ব্যবস্থা নিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৪১৩ নম্বর কেবিনে তাঁকে ভর্তি করা হলো। কিন্তু তিনি কেবিনে ছিলেন না। অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁকে নিয়ে গেলো সিসিইউতে। নিউরোলজির খ্যাতিমান ডাক্তার প্রফেসর আবদুল হাই আগে থেকেই চিকিৎসা করছিলেন আল মাহমুদের। এর আগেও বেশ কিছু দিন ইবনে সিনায় তাঁর অধীনে চিকিৎসা নিয়েছিলেন আল মাহমুদ। ডাক্তার আবদুল হাই বাংলাদেশে একটি নতুন বিষয় যোগ করেছিলেন। যেটি ব্রেনের ভেইনে রিঙ পরানোর ব্যবস্থা। এটি বেশ আলোচিত নিউরো জগতে। যেহেতু আল মাহমুদের কথা বলতে সমস্যা ছিল এবং অল্পতেই ব্রেইনে চাপ পড়ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিউরোর ডাক্তার ঠিক হলো। সে মর্মে নিউরোলজির প্রফেসর আবদুল হাইয়ের অধীনে ছিলেন তিনি।
ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখলেন। দেখেই বললেন, তাঁর নিউমোনিয়া। দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে পাঠালেন। সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের বিধি। শুরু হলো তাঁর চিকিৎসা। সিসিইউ ৯-এ ছিলেন তিনি। কিন্তু এটিই যে আল মাহমুদের জীবনের শেষ অধ্যায়, এ কথা ভাবা হয়তো কষ্টকর ছিল।
মানুষের জীবন অনিশ্চিত এক ট্রেনের যাত্রী। কোথায় গিয়ে ট্রেন থামবে। কোথায় অকস্মাৎ থেমেই বলবেÑ এটিই শেষ স্টেশন। আর কোনো গতি নেই। চলা নেই, চলনের সাধ্য নেই। ব্যাস। থেমেই গেল। জমেই গেল। বন্ধ হয়ে গেল দরজা। হয়ে গেল চিরদিনের জন্য। এভাবেই থেমে যায় মানুষের জীবন। সময়ের বুকে খানিকটা দাগ কেটে চলে যায় চিরদিনের দিকে। যেখানে কেবল জীবন আর জীবন। যেখানে মৃত্যুরও মৃত্যু ঘটে যায়।
জীবন নিয়ে আল মাহমুদের কোনো খেদ ছিল না। আফসোস এবং অনুশোচনাও নয়। অতৃপ্তির বিষয়টিও তিনি উড়িয়ে দিতেন। জীবন তাঁর কাছে একটি আনন্দের বিষয় ছিল। ছিল উদযাপনের বিষয়। তবে তিনি বলতেনÑ পৃথিবীতে সত্যিকার কোনো সুখ নেই। সুখ বলতে মানুষ যা বোঝে, তার বাস্তব রূপ হলো প্রয়োজন পূরণের নিমিত্ত। যেমনÑ কারো খুব ক্ষুধা পেল, তার এখন খাওয়ার চাহিদা ভীষণ। খেল সে। অমনি তার একটি প্রয়োজন পূর্ণ হলো। ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হলো। খানিক আরাম বোধ করল। এই তো তার পরিতৃপ্তি। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ক্ষুধা আবার তো লাগবেই। আবার সেই কষ্টের বিধান। তবে? তবে এখানে সুখ থাকল না। কেবল প্রয়োজনের পূর্ণতায় আরাম বোধ এবং এক ধরনের পরিতৃপ্তি মাত্র।
যেহেতু জীবন নিয়ে তাঁর কোনো অতৃপ্তি ছিল না। আফসোস ছিল না। ফলে তিনি তাঁর জীবনকে নিয়ে খুশিই ছিলেন। বয়সের দিক থেকেও পূর্ণতার কানায় কানায়। তবুও আমরা ভাবিনি এই যাত্রাই পৃথিবীর সর্বশেষ যাত্রা তাঁর। সর্বশেষ চিকিৎসা এবং সর্বশেষ নিঃশ্বাসটি ছেড়ে পৃথিবীর বাতাস থেকে আর কোনো শ্বাস নেবেন না। সিসিইউতে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকল। ফলে তাঁকে সিসিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলো। স্ট্রোক আইসিইউ-৩ এ রাখা হলো তাঁকে। আইসিইউতে নেয়ার ২৪ ঘণ্টা পর তাঁর অবস্থার খানিকটা উন্নতি ঘটল। কিন্তু সেটি অল্প সময়ের জন্য। আবার অবনতি। একপর্যায়ে খারাপ অবস্থা একটি স্থিতিতে দাঁড়াল। উন্নতি নয় আর অবনতিও নয়, এ পর্যায়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল ইবনে সিনা কর্তৃপক্ষ। এদিকে দেশের জাতীয় দৈনিক, ইলেকট্রনিকস মিডিয়া এবং অনলাইন পত্রিকাগুলো আল মাহমুদের অসুস্থতার খবর ছাপতে থাকে। পত্রপত্রিকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইন্টারনেট ও ওয়েব পোর্টালে মুহুর্মুহু সংবাদ চালাচালি চলছিল। সারা দেশ থেকে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এবং পত্রিকা অফিসে ফোন আসতে থাকে। কেমন আছেন আল মাহমুদ? তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন? সর্বশেষ খবর জানার আকুতি মানুষের। পত্র-পত্রিকার মতো ইবনে সিনা হাসপাতালেও আসতে থাকে অসংখ্য ফোন। মিডিয়াগুলো বেশ কান খাড়া করে থাকল ইবনে সিনার দিকে। বিভিন্ন হাউজ থেকে ফোন করে সাংবাদিকরা হাসপাতালের কাছে জানতে চান আল মাহমুদের সর্বশেষ খবর।
এমন পরিস্থিতিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিলো ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। ধানমণ্ডি ১৫/এ তে অবস্থিত হাসপাতালটি। হাসপাতালের নিচতলায় আয়োজন করা হলো সংবাদ সম্মেলন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে সাংবাদকর্মীরা জড়ো হলেন হাসপাতালের নিচতলায়। বেশ জমজমাট উপস্থিতি সাংবাদিকদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন আল মাহমুদের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. আবদুল হাই, ইবনে সিনার সিনিয়র জিএম আনিসুজ্জামান, ডিজিএম অ্যাডমিন আশরাফুল ইসলাম, ম্যানেজার অ্যাডমিন মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. আকমান আলী। আল মাহমুদের চিকিৎসার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা সম্বন্ধে সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেন ডাক্তার আবদুল হাই। সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জবাবও দিলেন তিনি। তাকে সাহায্য করলেন সিনিয়র জিএম আনিসুজ্জামান।
পরদিন প্রায় সব দৈনিক এবং ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ডা. আবদুল হাইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করল। কিন্তু মানুষের উৎকণ্ঠার অবসান হালো না। দেশ তো বটে, দেশের বাইরে থেকেও অনেক ফোন আসা শুরু হলো সর্বশেষ খবরটি জানার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছেও বেশ ক’টি ফোন উৎকণ্ঠার সাথে এসেছে। জানতে চেয়েছেন, কেমন আছেন আল মাহমুদ? সুস্থ হবেন তো? অবস্থার উন্নতি হচ্ছে তো! উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়া যায় কিনা, তারও পরামর্শ রেখেছেন কেউ কেউ। বলেছেন, প্রয়োজনে তারা চিকিৎসা খরচ জোগানে উদ্যোগও নেবেন। কিন্তু আল মাহমুদের শারীরিক অবস্থা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে তাঁকে বিদেশ নেয়ার মতো ঝুঁঁকি নিতে কেউ রাজি হননি। তিনি তখন এক রকম লাইফ সাপোর্টে।
১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সংবাদ সম্মেলন হলো। মানুষের উৎকণ্ঠা বেড়ে গেল আরো। কোনো সংবাদ শুনেই যেন তৃপ্ত নন মানুষ। আল মাহমুদ মানুষের অন্তরে এতটা গভীরভাবে দাগ কেটেছেন কে জানত। কবিতার শক্তি এমনি প্রবল যা মানুষের হৃদয় ভালোবাসার নকশা এঁকে দেয়। আল মাহমুদ সেই ভাগ্যবান কবিদের একজন, যাকে মানুষ জীবনের সব চেয়ে দামি বিষয় ভালোবাসা দিয়ে বরণ করেছেন। ঠাঁই দিয়েছেন বুকের ভেতর। ফলে দিন গড়াতেই ফোনের সংখ্যা বেড়েই চলল। পত্র-পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে প্রকাশ হতে থাকল বিভিন্ন রচনা। তাঁকে ঘিরে তাঁর কবিতা ঘিরে প্রবন্ধ-নিবন্ধ এবং ফিচার ছাপা হতে থাকল। উঠে এলো তাঁর সোনালী কাবিনের গল্প। তাঁর কাব্যিক জীবনের কাহিনী। কবিতার পক্ষে খরচ করা তাঁর সারা জীবনের কথা। বই মেলায় কবি-সাহিত্যিক এবং সাহিত্যকর্মীদের আড্ডায় উঠে এলো আল মাহমুদের অসুস্থতার আলোচনা। যার সাথে দেখা হয়, তিনিই জিজ্ঞেস করেন কেমন আছেন আল মাহমুদ!
দেখতে দেখতে এলো ১৫ ফেব্রুয়ারি। আরো অবনতি হলো শারীরিক অবস্থার। ডাক্তারদের বেড়ে গেল উৎকণ্ঠা। বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বারবার খোঁজখবর। এভাবে কেটে গেল দিনটি। সন্ধ্যার পর থেকে অবস্থা আরো খারাপ। কোনোভাবেই স্থিতিশীলতায় থাকছিল না শারীরিক অবস্থা। রাত তখন ১১টার কম বেশি। ডাক্তার ঘোষণা দিলেনÑ আল মাহমুদ আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। পৃথিবীর বাতাসেরা সর্বশেষ নিঃশ্বাসটি নিয়ে পালিয়ে গেল ইবনে সিনা হাসপাতালের স্ট্রোক আইসিইউ-৩ থেকে। বাতাস বয়ে বেড়াচ্ছে একজন কবির সর্বশেষ নিঃশ্বাস। যে নিঃশ্বাস একদিন উচ্ছল ছিল কবিতার আনন্দে।

(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement