২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শরৎ আনন্দের দিন

-

শরৎ তোমার অরুণ আলোয় অঞ্জলি কিংবা ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লকোচুরি খেলা... নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় এভাবেই শরতের উপস্থিতি টের পাই।
অঝোরে ঝরা বর্ষা বিদায় নিলেও কিশোরী মেঘবালিকাদের আসা-যাওয়া পুরোপুরি না থামলেও বলা যায়, প্রকৃতি এখন বর্ষার বৃষ্টি-ধোয়া নির্মল শিশুর মতো স্বচ্ছ। নীলাকাশজুড়ে অলস মেঘের অবাধ বিচরণ, খণ্ড খণ্ড মেঘের ভেলায় এই কোনো নিরুদ্দেশ যাত্রা। হঠাৎ রোদের ঝলকানি, তার পরপরই মেঘের ছায়া; যেন মেঘ-রৌদ্রের কানামাছি খেলা কিংবা মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি, নদীর তীর ঘেঁষে কাশফুলের অপরূপ সমারোহ, উত্তরের বাতাসে সাদা কাশফুলের ঢেউ খেলা স্রোত, খালবিলে জলজ ফুলের রূপ-লাবণ্য প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলে প্রেয়সীর মতো। শিউলির সৌরভ, ঘাসের ডগায় শিশিরের আল্পনা মনে করিয়ে দেয় রানীর ঐশ্বর্য নিয়ে শরৎ এসেছে।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ষড়ঋতুর প্রভাব লক্ষণীয়; তবে কবিদের কবিতায় শরৎ অনেকটা অবহেলিত। তাই বলে শরৎ কবিতায় একেবারেই অনুপস্থিত, এ কথা বলা যাবে না। মধ্যযুগের কবি বড়– চণ্ডীদাস শরৎকে এভাবে দেখেছেনÑ
বাদর মাঁসে আহানিশি অন্ধকারে
শিথি ভেক ডাহক কারে কোলাহলে
তাও না দেখিবো যঁবে কাহ্ণাষ্ণির মুখ
চিন্তিতে চিন্তিতে মোর ফুটি জায়ির বুক।।
আশ্বিন মাসের শেষে নিবিড়ে বারিধা
মেঘ বাহিআ গেলে ফুটিবেক কাশী।
ভাদ্র মাসের অন্ধকার রাত, ব্যাঙ আর ডাহুকের কোলাহল সেই সাথে আশ্বিনের শেষে ঘন বর্ষণ কবির মনে চিন্তার খোরাক জোগায়, তাতে কবি বিচলিত বোধ করেন। তবুও নীলাকাশে মেঘমালায় ডুবসাঁতার এবং কাশফুলের সৌন্দর্য তার কবিতার প্রাণভোমরা যেন।
অবশ্য সে সময়ের কবিরা শরৎকালকেই প্রণয়ের শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে যথোপযুক্ত মনে করেছিলেন। তা সম্ভবত কবি কালিদাসের ‘ঋতুসংহার’-এর প্রভাব হতে পারে। কবি আলাওল তার ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে ‘ষটঋতু বর্ণন’ খণ্ডে মিলন মধুর দৃশ্য এভাবে এঁকেছেনÑ
আইল শরৎ ঋতু নির্মল আকাশ।
দোলায় চামর কাশ কুসুম বিকাশ।।
নবীন খঞ্জন দেখি বড়ই কৌতুক।
উপাজিত যামিনী দম্পতি মনে সুখ।।
চতুঃসম চন্দনে লেপিয়া কলেবর।
সুকুমার শ্বেতশয্যা অতি মনোহর।।
নানা আভরণ পট বস্তু পরিধান।
যুবকের মরমে জ্বালায় পঞ্চবান।।
সুখবাখ্যা সুতি সতী সুস্বামীর মনে।
নানা সুখ বিলসেন্ত হরষিত মনে।।
শরতের রূপ-লাবণ্য কবির হৃদয়ানুভূতিকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। সৃষ্টিশীল কবির হাত ধরে শরৎ উঠে আসে কবিতায়, কবির পঙ্ক্তিমালা হয়ে যায় শরৎসমৃদ্ধ। বাংলা কবিতায় শরৎ বন্দনায় লোভনীয় কিছু পঙ্ক্তিমালা তুলে ধরছিÑ
তোমার কপোল-পরশ না পেয়ে পাণ্ডুর কেয়া রেণু
তোমার স্মরিয়া ভাদরের ভরা নদীতটে কাঁদে বেণু
কুমারীর ভীরু বেদনা-বিধুর প্রণয় অশ্রুসম
ঝরিছে শিশির সিক্ত শেফালি নিশি ভোরে অনুপম।
ওগো ও কাজল মেয়েÑ,
উদাস আকাশ ছলছল চোখে তব মুখ আছে চেয়ে
কাশফুল সম শুভ্র ধবল রাশ রাশ শ্বেত মেঘে
তোমার তরীর উড়িতেছে পাল উদাস বাতাস লেগে।
[চক্রবাক/ বর্ষা বিদায়/ কাজী নজরুল ইসলাম]
আশ্বিন মাসে নদীর তীর ঘেঁষে সাজানো কাশফুলের সাথে উত্তরের হাওয়ায় ঢেউ খেলা নদীর জলরাশি খাল-বিলের জলে পাপড়ি মেলা পদ্ম-শাপলাসহ অসংখ্য জলজ ফুলের সমারোহ, রাতের শিশিরে ঝরে শিউলি নীলাকাশের শুভ্র খণ্ড-খণ্ড মেঘের ভেলা; এসবই শরতের বৈশিষ্ট্য। শরতের এমনি শান্ত-স্নিগ্ধ রূপে কবি যদি তার প্রেয়সীর প্রেমে পড়ে ক্ষতি নেই তাতে।
দেখে নেয়া যাক জীবনানন্দের কবিতায় শরৎ কিভাবে ধরা দিয়েছে।
এখানে আকাশ নীল-নীলাভ আকাশ জুড়ে শজিনার ফুল
ফুটে থাকা হিম-সাদা রং তার আশ্বিনের আলোর মতন
আকন্দ ফুলের কালো ভীমরুল এইখানে করে গুঞ্জরণ
রৌদ্রের দুপুর ভোরে বারবার রোদ তার সুচিক্কন চুল
কাঁঠাল জামের বুকে নিংড়ায় দাহ বিলে চঞ্চল আঙ্গুল
[এখানে আকাশ নীল/ জীবনানন্দ দাশ]
ঋতুবৈচিত্র্যের বাংলাদেশে ভাদ্র ও আশ্বিন হচ্ছে শরৎ। শান্ত-স্নিগ্ধ প্রকৃতি, স্বচ্ছ নীলাকাশ দুপুরের আলোমাখা সোনা রঙ, বিকেলের নরম রোদে পুকুর ঘাটে কিশোরীর পা ডুবানো দৃশ্য, সন্ধ্যার হাত ধরে কুয়াশার বিস্তৃতি মনে করিয়ে দেয় শরতের শাশ্বত রূপ।
কবি আল মাহমুদ তার তিতাস কবিতায় যেভাবে শরৎকে এঁকেছেনÑ
কিছুই খুঁজিনি আমি যতবার এসেছি এ তীরে
নীরব তৃপ্তির জন্য আনমনে বসে থেকে ঘাসে
নির্মল বাতাস টেনে বহুক্ষণ ভরেছি এ বুক।
একটি কাশের ফুল তারপর আঙ্গুলে আমার
ছিঁড়ে নিয়ে এই পথে হেঁটে চলে গেছি। শহরের
শেষপ্রান্তে যেখানে আমার ঘর, নরম বিছানা
সেখানে রেখেছি দেহ।
[তিতাস/ আল মাহমুদ]
‘একটু মনোযোগ দিয়ে কবিতাটি পাঠ করলে সহজেই বোঝা যায়, শৈশবের এই তিতাস শরতেরই নদী। অদূরের বিল থেকে পাখায় জলের ফোঁটা ফেলে দিয়ে দূরে উড়ে যাচ্ছে পানকৌড়ি, মাছরাঙা, বক, মায়াবী তিতাস জনপদে স্রোতের মতো নিয়ে আসছেÑ অধীর কোলাহল। একটি কাশের ফুল আঙুলে ছিঁড়ে নিয়ে নিজের ঘর, নরম বিছানার দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। সোনার বৈঠার ঘায়ে পবনের নাও বেয়ে চলছেন অলৌকিক যৌবনের বেশে। আল মাহমুদের এই কবিতায় শরৎ শন্দের কোনো উচ্চারণই নেই, কিন্তু শরৎ উঠে এসেছে আল মাহমুদীয় ঢঙে। এই কবিতাটিতে পাওয়া যাবে আমাদের পরিচিত সেই গ্রামীণ শরৎ। আমরা যেভাবে শরতের রূপ জেনে এসেছি সে রূপ আমাদের পরিচিত জগতের মধ্যে বিরাজমান।’
[আল মাহমুদের শরৎ অন্বেষণ বাতাস গড়িয়ে পড়ে বিদায়ের বিষণœ নির্যাস/ রাসেল রহমান/ মোহিত কামাল সম্পাদিত ‘শব্দঘর’, সেপ্টেম্বর ২০১৬ সংখ্যা]

এবার দেখে নেব বিভিন্ন কবির কবিতায় শরৎ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে। এক একটি কবিতা যেন শরতের কাশফুল কিংবা ঝরা শিউলির মতো আবার সরাসরি শরতের উপস্থিতি না থাকলেও সে তো শরতেরই নিবেদিত পঙ্ক্তিমালা।
অ. শরতেও ঘুরছে ডাহুক
শরতেও উড়ছে ডাহুক
ঋতুর বদল হয়
বদল হয় না শুধু
ডাহুকের বুক।
[ডাহুকের বুক/ মুহম্মদ নূরুল হুদা]
আ. কেননা যাওয়ার জন্য এইসব আসা
নক্ষত্রের কটিকে জড়িয়ে চুমু খাওয়া;
ঘর বাঁধা কিংবা গড়া নীল ভালোবাসা
তোমাকে ছড়িয়ে। ছোটে কি শরৎ হাওয়া
[কে বিবাহ তীব্র করে/ জাহিদুল হক]
ই. কাশফুল জোছনা খসে পড়ে চাঁদের শরীর থেকে
হৃদয় হারিয়ে যায় অপার আকাশ নীলে
ও আসে ফুরফুরে হাওয়ায় ঘননীল আঁচল উড়িয়ে
ইন্দ্রিয়ের জানালা খুলে যায়; শরতের শুভ্র মেয়ে
ঘুমায় আমার পাশে।
[শরতের শুভ্র মেয়ে/ মুজিবুল হক বীর]
ঈ. ভরা জোছনায় শরতের চাঁদ রেখেছি হাতে
বেদনার গাথা সাক্ষী আকাশ হাজার রাতে
কাল সে তো জানে সবাই মানব কখন
তুমি গো ঝরনা আমার আসল রতন।
[অপরাহ্ণের রোদ বৃষ্টি-১/ ফজলুল কাশেম]

শরতের কথা বলতে গেলে ঘুরেফিরে বারবার প্রকৃতির শান্ত-স্নিগ্ধ রূপকেই মনে করিয়ে দেয়। ভাদ্র-আশ্বিনে শিশিরে ভেজা ঘাসের ডগা, নদীতীরে বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুলের বিনম্র অভিবাদন কিংবা আঙিনা জুড়ে বিছানো শিউলির চাদর মনে করিয়ে দেয় শরতের রূপলাবণ্য। শরতের এই মায়াবী আবহে যদি কবি জীবন থেকে ছুটি নিতে চান, তাতেও কোনো ত্রুটি খোঁজার দুঃসাহস দেখাব না। কারণ শরৎ ঋতুতে সব কিছুই সম্ভব। শরৎসমৃদ্ধ কবিতার আরো কিছু উদ্ধৃতাংশÑ
১. শরতে জন্মেছি, তাই শরতেই হোক ছুটি
আলগোছে নিভৃতে প্রস্থান। শরৎ মানব
মনে সঞ্চারিত করো তুমি কিঞ্চিত দয়া ও
ধর্ম, পয়দা করো হৃদয়ে রহম তারা যেন
ভালোবাসে নিষ্কলঙ্ক শিউলি ফুল, সামান্য দরদি
হয়। মানবিক হয়। শরৎ হে প্রিয় বাঞ্ছিতা ঋতু
সামান্য কবির এই অনুল্লেখ্য গরিবি আরজ;
অবহেলে দিয়ো না দোয়া না ফেলে, করুণাবশত
করো প্রীতি বিবেচনা।
[রক্ততৃষ্ণা দূর করো হে বন্ধু শরৎ/ হাসান হাফিজ]
২. শরৎ সন্ধ্যায় দাঁড়িয়েছি আমি।
আমার ছায়া
কোথাও কেউ নেই। কাশবন
পেরিয়ে উড়ে উড়ে আসে ধূসর মেঘ।
কে কাকে বন্দনা করে?
সব দীর্ঘশ্বাস পেছনে ফেলে
চলো যাই মেঘেদের বাড়ি।
[শাদা ঢেউয়ের সাথে/ সুহিতা সুলতানা]
৩. শরৎ জোছনা যখন আমার হৃদয় ধুয়ে রাখে
প্রেমের তস্তুরিতে
তখন শরৎ পাখির কণ্ঠে শুনি নিশি রহস্যের সুর
যে সুরে বাজতে থাকে ুধাকান্ত ঘুমহীন মনের বেদন
তখনও দেখি জোছনা জ্বলতে জ্বলতে পৃথিবীর বুকের উপর
শুয়ে থাকা রাতকে স্বচ্ছতায় ভাসিয়ে দিতে
তখনও শিউলির গন্ধ নিয়ে ছুটে যাচ্ছে পৃথিবীর বাতাসেরা
এভাবে আমার বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায়
সুখ দুঃখের শরৎ পাখি
এভাবেই পাখিগুলো গেয়ে যায় শরৎ সুখের গান
[শরৎ পাখি/ জাকির আবু জাফর]
৪. এ এক বিস্ময় যেতে হয় তাকে ধূসর মোকামে
তীব্র শূন্যতায় ভিড়ে,
সব মানুষের শরৎ শিউলি তলায়
নেই ভোরের সংস্কৃতি ফুল ফোটা নিভৃতির চোখ
[বিরহ যাপন/ সোহরাব পাশা]

উত্তরের বাতাসে ভেসে আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে ভেসে বেড়ানো নরম নরম মেঘ প্রকৃতির শরীরজুড়ে বিভিন্ন ফুলের সমারোহ, খাল-বিলে জলজ ফুলের উপস্থিতি কিশোরীর হাত ছুয়ে লাল শাপলা। নদীতীরে কিশোরের সূর্যস্নান, রঙ-বেরঙের পালতোলা নাও শরতের গায়ে লেপ্টে দেয় অনাবিল সৌন্দর্য। কবির কলমে শরৎ আসে নব নব রূপে। নির্মল গাঢ় নীলাকাশ জুড়ে অগুনতি তারার মেলা। শিশুর হাসির মতন নরম নরম জোছনা আর জোনাকির ওড়াউড়ি দেখে কবি কি কাগজ/কলম থেকে দূরে স্থির থাকতে পারে? তারপরও এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, বাংলা কাব্য সাহিত্যে শরৎ বিষয়ক কবিতার উপস্থিতি নেহায়েত সামান্যই। দেখে নেবো শরৎ সম্পর্কিত আরো কিছু পঙ্ক্তিমালাÑ
১. শরতের রূপায়িত শিম শুনতে চলো কাশের অববাহিকায়।
যেখানে সৃষ্টি ও বিলয়ের সঙ্গীত সুধা বেষ্টিত রাখে দৃষ্টিসীমা
সেখানেই সাতরঙা স্বপ্ন মনোবাহিত হয়ে আশ্বিনে পাপড়ি ছড়াবে
আমাদের দৃষ্টিসীমা কাশের অšে¦ষণে ঘিরে ফেলবে উতলা বাতাস
শিসের যথার্থ প্রস্তাবে এক ফালি আলোর কাঁধে প্রতিনিধি হবে
ঠিকই; তখন হয়তো কুমারত্বের মাখামাখি নিয়ে আবারও
ফিরবে বিষয়ের শরৎ।
[কাশের অববাহিকা/ আইউব সৈয়দ]
২. তোমার হৃদয় থেকে শিউলী ফুলের মতো
ঝরে পড়বে এক ফোঁটা ভোর;
তরুণ বটের নিচে দাঁড়িয়ে তোমার ওই
মহান উত্থান দিবস অবলোকন করব আমি।
[একটি রাত্তির উদ্দেশে/ মাহবুব হাসান]
৩. হৃদয় দুয়ারে শিউলি ফোটানো কসুম সুরভি পথে
স্বচ্ছ শরতে আমরা দুজনে শোয়ারি উল্টোরথে
কাশবনে দেখো, শিশির মাখানো কুয়াশায় ঢাকা ভোর
ভুল করে যদি ছিঁড়ি কাশফুল দুটি, হাবো নাতো চোর
চোর হলে ক্ষতি নেই, চোর যদি প্রেয়সীর এলোচুল
বাঁধা বিনুনির ফাঁকে গুঁজে দেয় দুটি শাদা কাশফুল।
[শরতের মেয়ে/ জাফরুল আহসান]

শরতের রূপ-লাবণ্য, শরতের ঐশ্বর্য যাই বলি না কেন, ষড়ঋতুর দেশে শরৎ যতই অনাদৃত বলি না কেন; ভাদ্র ও আশ্বিন মাস তার আয়ুষ্কাল। কিন্তু এই ভাদ্র মাসেও যদি অবিরাম বর্ষণ হয় তাহলে কি কবির মন ভালো থাকতে পারে? মধ্যযুগের অন্যতম কবি বিদ্যাপতি। বিদ্যাপতির কাব্যভাষা ও তার কবিতার পঙ্ক্তিমালায় শরতের ছবিটা খুব একটা সুখকর নয়; বেদনাক্রান্ত।
এ সখি হামারি দুঃখের নাহি ওর
এ ভরা বাদর মাহে ভাদর
শূন্য মন্দির মোর।
বর্ষা পরিক্রমায় শরতের আসা-যাওয়া নিয়মমাফিক হলেও শরৎ জুড়ে আছে শারদীয় উৎসব; কোজাগরি পূর্ণিমা। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শরতের রূপবৈচিত্র্য। বর্ষা শেষে রানীর বেশে শরৎকে বরণ করে নেয়ার মাঝে যেমন আনন্দ তেমনি শরতের বিদায় বেদনাবহ।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement