চীন ও কোরিয়া ছাপাখানার আদিস্থান। ইউরোপের অনেক আগে এ দু’দেশে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এশিয়ায় এর আবিষ্কারকদের নাম কী তা এখন আর কেউ জানে না। মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
তোমরা কি জানো, বিশ্বসভ্যতার অন্যতম উপাদান ছাপাখানা? বিশ্বের প্রথম ছাপাখানা কোথায় স্থাপিত হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা যায় না। তবে এর পথিকৃৎ এশিয়া
Ñ ইউরোপ নয়। জানা যায়, চীন ও কোরিয়া ছাপাখানার আদিস্থান। ইউরোপের অনেক আগে এ দু’দেশে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এশিয়ায় এর আবিষ্কারকদের নাম কী তা এখন আর কেউ জানে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানে এশিয়া একসময় ইউরোপের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রগামী ছিল। তবে কি ইউরোপ ছাপাখানা তৈরি করার কারিগরি বিদ্যা এশিয়া থেকে গ্রহণ করেছিল? ইউরোপে ছাপাখানার পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয় জোহান গুটেনবার্গকে। তিনি একজন জার্মান। তার জন্ম ১৩৯৮ সালে এবং মৃত্যু ১৪৬৮ সালে। বর্তমানে ছাপাখানার বদৌলতে বই পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে, তার প্রাথমিক বিশেষ অবদান এই বিজ্ঞানী-কারিগর গুটেনবার্গের। তার আগে বই বলতে ছিল হাতে লেখা পুঁথি, আর এসবের অধিকারী ছিল বড়লোকেরা।
গুটেনবার্গের ছাপাখানা আবিষ্কারের কয়েক শ’ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বের মানুষ এর সাথে পরিচিত হয় এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্রুত বিকশিত হতে থাকে। তাই নানা মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এই জার্মান বিজ্ঞানীকেই বিশ্বের ছাপাখানার পথিকৃৎ বলে।
প্রথম জীবনে জোহান গুটেনবার্গ ছিলেন স্বর্ণকার বা গয়নার কারিগর। তিনি কামার হিসেবেও দক্ষ ছিলেন। পরে ১৪৫০ সালে তিনি একটি ছাপাখানা খোলেন। ১৪৫৫ সালে পৃথিবীর প্রথম ছাপানো বই ‘বাইবেল’ এ ছাপাখানা থেকে ছাপা হয়Ñ এ দাবি ইউরোপীয়দের।
জার্মানির মেন্জ শহরে এই বিজ্ঞানীর স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে একটি জাদুঘরের নামকরণ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা